আ ন ম হাসান:
মহেশখালী উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার অফিস নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। এই অফিসটি বর্তমানে ঘুষ দুর্নীতির আঁতুড় ঘরে পরিনত হয়েছে ৷
সরকারী এই কার্যালয়টি ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে এমন পরিচিতিই ছড়িয়েছে উপজেলার সর্বত্রই । ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, সরকার ডিজিটাল প্রযুক্তি চালুর মাধ্যম দেশের প্রতিটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত রাখার ঘোষনা দিলেও মহেশখালী উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মরত কর্মচারীদের অবস্থান এর বিপরীতে, ফলে প্রকাশ্যে চলছে ঘুষ লেনদেনের কাজ।
ভোক্তভোগী সহ একাধিক সূত্রের অভিযোগ, সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের অনিয়ম দুর্নীতির পেছনে রয়েছেন সাব-রেজিস্ট্রার অফিসার বেলাল হোসেন। অফিসে কর্মরত অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজস করে তিনি হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
খবর নিয়ে জানা যায়, সাব-রেজিস্ট্রার বেলাল হোসেন অনিয়মিত অফিস করেন। সকাল ১০টার মধ্যে অফিসে আসার নিয়ম হলেও তিনি প্রায় সময়ে অফিসে আসেন বেলা ০১টার পর। টাইমের পরে এসে টাইমের আগে বেলা ৩টার মধ্যেই অফিস ত্যাগ করার জন্য তাড়াহুড়া করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীতে প্রতি সপ্তাহে দলিলের রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে গড়ে ৬০-৭০টি। সেবা প্রার্থীরা রেজিস্ট্রি করতে এসে তাদের নির্ধারিত রেজিস্ট্রি ফি দলিল লেখকদের মাধ্যমে যথারীতি ব্যাংক ড্রাফট করে থাকেন। কিন্তু অফিসে দলিল নিয়ে গেলে শুরু হয় অপর নাটক। দলিলের বিপরীতে পরিশোধিত মুল্যের উপর অফিসের খরচ দেখিয়ে দলিল লিখক ও সেবা প্রার্থীদের এক প্রকার জিম্মি করে দলিল গ্রহীতার নিকট হতে প্রতিলাখের ২% টাকা আদায় করে নেয় অফিস কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে সেবা গ্রহীতাদের আক্ষেপের শেষ নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের এক কর্মচারী জানান, জনসাধারণের শারীরিক অক্ষমতা, অসুস্থজনিত কারণে সরকার কর্তৃক কমিশন ভিত্তিক দলিল করার নির্দেশনা থাকলেও বিভিন্ন সময়ে সাব-রেজিস্ট্রারগণ কিছু সংখ্যক অসাধূ কর্মচারীদের প্ররোচনায় টাকার মোহে বিভিন্ন মানুষের নিজ সুবিধার্থে কমিশনে কবলা করে দিচ্ছেন। আমরা সবকিছু জেনেও উর্ধতন কর্তাদের কাছে অসহায় থাকতে হয় ৷
এবিষয়ে বক্তব্য জানতে সাব রেজিস্ট্রার অফিসার বেলাল হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করাতে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি ৷
ভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে , তিনি অপরিচিত নাম্বারের ফোন কল সহজে রিসিভ করেনা বলে জানা যায় ৷৷