নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ৩রা মার্চ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তপসিল অনুযায়ী মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা সহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের যাচাই – বাচাই শেষ হয়েছে। মহেশখালী নির্বাচন অফিস কতৃক আগামী ২৫ শে মার্চ প্রতীক বরাদ্দের জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়।
নির্বাচনের জন্যে প্রার্থীরা প্রস্তুত যে যার-মতো। নিজেদের ভোট ব্যাংক গোছাতে ব্যস্থ সবাই।
বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়া খ্যাত মাতারবাড়ী। যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক (নৌকার) গ্রহণযোগ্যতা ও আছে উল্লেখযোগ্য হারে, যার স্পষ্ট প্রমাণ ছিল ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বেলায় চিত্র ঠিক তাঁর উল্টো দেখা যাচ্ছে। ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীরা দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার ভয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়নি। কিন্তু ২০২১ সালের নির্বাচনে বিরোধী দল বিএনপি স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় “দৈনিক জাতীয় ইত্তেফাক” পত্রিকার প্রকাশিত একটি নিউজ সূত্রে দল মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ উন্মুক্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার সূত্র ধরেই মাতারবাড়ীতে নৌকার পাশাপাশি দলীয় বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতারাও প্রার্থী হয়েছেন।
মাতারবাড়ীতে ২০১৬ সালের দলীয় প্রতীক’কে প্রাধান্য দিয়ে অনেক নেতাকর্মীরা প্রার্থী না-হয়ে দলের জন্যে কাজ করেও নির্বাচিত হয়নি নৌকা প্রতীকের। কিন্তু ২০২১ সালে দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়ার কথা থাকায় দলের প্রথম সারির নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে প্রার্থী হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ইতিমধ্যে যাচাই-বাছাই শেষ হওয়া প্রার্থীরা অনেক শোডাউন, পথসভা, ওঠান বৈঠক করেছে। নৌকা সহ সকল প্রার্থী অধিকাংশ মিছিল মিটিং এ মিশ্র ভাবে দেখাগেছে দলীয় তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মীদের। যারকারণে দলীয় প্রতীক নৌকার জন্য একচেটিয়া মাঠে নেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।
দলীয় নেতাকর্মীরা দলের প্রার্থীর জন্য এককভাবে মাঠে ময়দানে কাজ না – করলে ২০২১ সালের নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবি হবে বলে মন্তব্য করেছেন অসংখ্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ।
আমাদের দ্বীপ নিউজের একটি টিম মাতারবাড়ীর প্রথম সারির কয়েকজন সাবেক – বর্তমান নেতাকর্মীদের সাথে কথা বললে তাঁরা জানায়, দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি অন্যান্য নেতাকর্মীরা নির্বাচন করার সুযোগ সৃষ্টি হাওয়ায় তৃণমূলের অসংখ্য নেতাকর্মীরা বিভিন্ন প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে মাতারবাড়ীতে নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা প্রতিক নয় জনপ্রিয় গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিরাই নির্বাচিত হবেন বলে মন্তব্য করেন তাঁরা।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে অলিখিত ভাবে গণমাধ্যমে দেওয়া একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে দলীয় নেতাদের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় মনোনয়ন পত্র প্রত্যহার করতে, অন্যথায় দল কঠোর অবস্থানে যাবে। তবে, বিদ্রোহী প্রার্থীরা জানায় তাঁরা কেন্দ্রের নির্দেশের অপেক্ষায় আছে। কারণ তাঁরা মন্তব্য করেন বিএনপি উপজেলা এবং পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় উপজেলা/পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দলের অবস্থান শীতল ছিল যার কারণে এবারের ইউনিয়ন নির্বাচনেও দলের অবস্থান শীতল থাকবে।
বাস্তব প্রেক্ষাপটে অসংখ্য ভোটারদের সাথে কথা বললে জানা যায়, তাঁরা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট হওয়ার প্রত্যাশায় রয়েছে। তাঁরা মনে করেন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে গ্রহণযোগ্য জনপ্রিয় প্রার্থীরাই ওঠে আসবে। তবে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ইতিমধ্যে জনগণকে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট উপহার দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।
ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে একচেটিয়া ভাবে সম্পূর্ণ দল সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠন গুলো প্রচারণার মাঠে দেখা না মিলায় সাধারণ জনতা সহ তৃণমূলের আওয়ামী লীগ সাপোর্টাররা অসংখ্য মানুষ নিজ পছন্দের গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিচ্ছে বলে জানা যায়।