1. dwipnews24.info@gmail.com : Dwip News 24 :
  2. editor@dwipnews24.com : Newsroom :
ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ফরিদের মামলার আদেশ ৭ ডিসেম্বর, প্রাণ নিয়ে শঙ্কা   | দ্বীপ নিউজ
March 30, 2023, 9:51 pm
শিরোনাম :
সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় মহেশখালীর ২ প্রবাসী নিহত, এলাকায় চলছে শোকের মাতম   মহেশখালীতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নাগরিক সমাজের সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত  মাতারবাড়ি সড়কে ডাকাতির অভিযোগে রুবেল নামের এক যুবককে আটকের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন  মাতারবাড়ী – চালিয়াতলি সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুইজন গ্রেফতার কুতুবজোম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে সাইকেল দেওয়া না দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রধান শিক্ষক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসা কর্তৃক মৎস্যজীবীদের অর্থ সহায়তা প্রদান মাতারবাড়ীতে সীমানা প্রচীর নিয়ে বিরোধের জের ধরে অতর্কিত হামলা, গুরুতর আহত ১ পূণ্যভূমি সিলেট বসেছিল কক্সবাজার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের পিকনিক ও বার্ষিক সাধারণ সভা রজভীয়া নূরীয়া মহেশখালী উপজেলা শাখার অভিষেক ও শপথ অনুষ্টান সম্পন্ন ডুসাম’র নতুন নেতৃত্বে হাসান – আমিন

ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ফরিদের মামলার আদেশ ৭ ডিসেম্বর, প্রাণ নিয়ে শঙ্কা  

  • আপডেটের সময় : বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
  • 133 ভিউ

অনলাইন ডেস্ক:  

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের আবেদন করেছেন কারামুক্ত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান। একই সঙ্গে মামলাটি এজাহার হিসেবে গন্য করার আদেশ চেয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতে আবেদন করেন ফরিদ।

বিজ্ঞ বিচারক তামান্না ফারাহ আবেদনটি আগামী ৭ ডিসেম্বর ধার্য্য তারিখে শুনানীর জন্য আদেশ দেন। এ অবস্থায় আবেদনকারী সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ যা-ই করেন, তা নিশ্চয়ই মানুষের কল্যাণের জন্যই করেন। বিচারকের বিচারকও তো একজন রয়েছেন।

সাংবাদিক ফরিদ আরও বলেন, ৩০ আসামীদের মধ্যে প্রদীপ ছাড়া বাকিসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে এখনো কর্মরত রয়েছেন। অতএব, তারা আমাকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাঁচতে দিবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। তাছাড়া শুধু লেখালেখির কারণে দিবালোকের মত স্পষ্ট এই ঘটনাটি থেকে পার পেয়ে যেতে চেষ্টা তো করবেনই। এছাড়া এরাতো হাজার কোটি টাকার মালিক।

উল্লেখ্য, এর আগে পুলিশ সদস্য ও তাদের দালালদের মাধ্যমে পৃথক চার দফা ঘটনায় নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন, হত্যাচেষ্টা, মিথ্যা মামলা দায়েরসহ নানা অভিযোগে গত ৮ সেপ্টেম্বর একই আদালতে মামলা করেন সদ্য কারামুক্ত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান।
মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী ধার্য তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দেন বিচারক তামান্না ফারাহ।
বুধবার আদালতে বাদির পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মো. মোস্তফা, মো: আবদুল মন্নান, রেজাউল করিম রেজা, এম.এম ইমরুল শরীফসহ বিএমএসএফ’র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদুল মোস্তফা খান তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন, বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়ে দীর্ঘ ১১ মাসের অধিক হাজতবাসের পর জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন। মামলাটি পিবিআইকে তদন্তপূর্বক প্রদিবেদন দিতে নির্দেশ প্রদান করে বিচারক। ফরিদের মামলার ৩০ আসামির মধ্যে ২৬ জনই পুলিশের সদস্য, যারা বিভিন্ন থানায় কর্মরত আছেন।

তারা কর্মস্থল ও পদবীর কারণে স্বাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের পাশাপাশি পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে বাদি ও স্বাক্ষীদের দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। তারা এও বলছে, পিবিআই যেহেতু পুলিশের একটি বিভাগ, সেহেতু তারা পুলিশের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিবে না। আসামিদের অনেক অধঃস্তন কর্মকর্তা পিবিআইতে কর্মরত আছেন, যাদের অনেকেই আসামিদের অধীনে কর্মরত ছিলেন। ঘটনা সত্য হলেও পুলিশ কর্তৃক পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন নিয়ে সন্দিহান ভিকটিম ও বাদি ফরিদুল মোস্তফা খান। নিরপেক্ষ তদন্ত নিয়েও শংকিত তিনি।

তাছাড়া মামলাটি নিয়মিত ‘জি.আর মামলা’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় যে কোন মুহুর্তে বাদি ক্ষতিগ্রস্ত ও বাদিকে অপহরণ, গুমপূর্বক আদালতে ‘হাজির নাই’ দেখিয়ে মামলাটি খারিজের ব্যবস্থা করতে পারে।
এদিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার দায়েরকৃত মামলায় ৩০ আসামির মধ্যে ৪ জনকে ‘পুলিশের দালাল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আসামিরা বর্তমানে টেকনাফ-কক্সবাজারে বীরদর্পে মাদক ব্যবসা, থানায় দালালীসহ হরেক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

আসামীরা হলেন- টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই মো. কামরুজ্জামান, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এ.বি.এম.এস দোহা, ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম খান, কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই প্রদীপ, এসআই মো: সাইফুল করিম, টেকনাফ থানার এসআই মশিউর রহমান, এসআই মনসুর মিয়া, এসআই ছাব্বির আহমেদ, এসআই সুুজিত চন্দ্র দে, এসআই বাবুল, এসআই মো. জামাল উল্লাহ, এসআই মো. নাজির উদ্দিন, এসআই আমির হোসেন, এসআই মিসকাত উদ্দিন, এসআই সনজিত দত্ত, কনস্টেবল নাজমুল হাসান, সাগর দেব, আবদুল্লাহ আল মামুন, রাশেদুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, মংচিংপ্র চাকমা, আবদুল শুক্কুর, মো. মহিউদ্দিন, সেকান্দর, টেকনাফের দক্ষিণ হ্নীলা ফুলেরডেইল এলাকার মৃত আবুল খায়েরের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম, হোয়াইক্যং পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়ার হাজি আবুল কাশেমের ছেলে মফিজ আহমদ, হ্নীলা দরগাহ পাড়ার মৃত তাজর মুল্লুকের ছেলে আবুল কালাম প্রকাশ আলম এবং হোয়াইক্যং দক্ষিণ কাঞ্জরপাড়ার মাওলানা সিরাজুল হকের ছেলে নুরুল আমিন।

ফরিদুল মোস্তফা খান জনতার বাণী বিডি ডটকম এবং দৈনিক কক্সবাজার বাণী পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক। তিনি টেকনাফ হোয়াইক্যং সাতঘরিয়া পাড়ার বাসিন্দা প্রয়াত শিক্ষক ডাঃ মোঃ ইছহাক খানের ছেলে। বর্তমানে শহরের ১ নং ওয়ার্ডের মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা।

মাদক ও ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে লেখালেখির কারণে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, মাদকসহ নানা গল্প সাজিয়ে তার বিরুদ্ধে একে একে ৬টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় দীর্ঘ ১১ মাস ৫ দিন পর গত ২৭ আগস্ট কারামুক্ত হন। তখন থেকে তিনি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত © 2022 dwipnews24.net
Desing & Developed BY ThemeNeed.com
error: Content is protected !!