সংবাদ বিজ্ঞপ্তি::
কক্সবাজার সরকারি কলেজের নামে কতিপয় অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলো কলেজ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। চট্টগ্রাম নিউজ ডটকম-এ “কক্সবাজার সরকারি কলেজের গ্রন্থাগারে ওয়াশরুমের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা: শিক্ষার্থীদের নজরদারিতে ব্যর্থ”, কক্সবাজারকণ্ঠ ডটকম-এ “সরকারি কলেজের গ্রন্থাগারে ওয়াশরুমের বরাদ্ধের হদিস নেই” এবং ভয়েসওয়ার্ল্ড ২৪ ডটকম-এ “অর্থ বছর শেষ, তবুও কাজ শুরু হয়নি” শীর্ষক সংবাদগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এতে কক্সবাজার সরকারি কলেজের মত একটি শ্রেষ্ঠবিদ্যাপীঠের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে উক্ত ভূয়া সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
উক্ত সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত খবরগুলোতে যেসব মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তার ব্যাখ্যা নিম্নে তুলে ধরা হলো।
শহীদ মিনার নির্মাণের নামে বরাদ্দের টাকা গায়েবের কথা উল্লেখ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের টেন্ডার এবং চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধান শিক্ষা প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বরাবর পাঠানো হয়েছে। যেহেতু টেন্ডার কার্যক্রমই অদ্যাবধি শুরু হয়নি, তাই এখানে অর্থ লোপাটের প্রশ্নই আসে না।
লাইব্রেরীতে কমপ্লেক্স বাথরুম নির্মাণের জন্য ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে টাকা বরাদ্দের কথা উল্লেখ রয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। কলেজের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বাথরুম তৈরি ও টাইল্্স লাগানোর কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয় ২১/০৬/২০২০ তারিখ, যা কার্যাদেশ প্রদান পরবর্তী ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উক্ত কার্যাদেশে লাইব্রেরীতে একটি ওয়াশরুম তৈরি, সমগ্র লাইব্রেরী কক্ষটি টাইল্্স লাগানো এবং ভৌত বিজ্ঞান ভবনের ছাদে মুড়ি কংকর দিয়ে ঢালাই করার কথা উল্লেখ আছে। এ কাজের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অদিধপ্তর হতে প্রাপ্ত কার্যাদেশের কপি অত্র কার্যালয়ে সংরক্ষিত আছে।
কলেজের চাষযোগ্য জমিসমূহ সরকারি বিধি মোতাবেক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। এতে আর্থিক অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। সুতরাং এ তথ্যটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
কলেজের উন্নয়নের জন্য সরকারি বরাদ্দের লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট করার কথা বলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কলেজের যাবতীয় উন্নয়ন কার্যক্রম শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে যথাযথভাবে সম্পাদিত হয়েছে এবং উক্ত উন্নয়ন কার্যক্রমের টাকা কোনভাবেই কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লোপাট করার সুযোগ নেই।
স্বাধীনতা ভবনের সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য যে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল তা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে কার্যাদেশের সিডিউল মোতাবেক যথাযথভাবে বিগত ৩১/১০/২০১৮ তারিখ সম্পন্ন হয়েছে।
কলেজের প্রধান ফটকের গেইট নির্মাণ নিয়ে জটিলতার কথা বলা হয়েছে। উক্ত প্রধান ফটক নির্মাণের জন্য সরকারি বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে এবং এর জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক টেন্ডার আহ্বানের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। যেখানে টেন্ডার প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি, সেখানে অর্থ লোপাটের প্রশ্ন তোলা অবান্তর।
করোনাকালীন এপ্রিল, মে ও জুন মাসে একটি ব্যাংকের কলেজের হিসাব থেকে অস্বাভাবাকি টাকা উত্তোলনের কথা উল্লেখ থাকলেও কলেজের হিসাব থেকে অস্বাভাবিক বা অন্যকোনভাবে কোন প্রকার টাকা উত্তোলন হয়নি। অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া।
উক্ত সংবাদসমূহে যে সকল অভিযোগ এবং তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কলেজের মানক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াসে একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রীমহল সংবাদকর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে এহেন সংবাদ প্রচার করিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
কক্সবাজার সরকারি কলেজ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এবং বিগত কয়েক বছরে কলেজ প্রশাসন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় এ কলেজ ১ম শ্রেণির কলেজে উন্নীত হয়েছে। কলেজটি বিগত কয়েক বছর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ এবং ফলাফলে সারাদেশে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।
সরকারি কলেজের যাবতীয় উন্নয়ন এবং স্থাপনা নির্মাণ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়ে থাকে। এ কাজসমূহের যাবতীয় টেন্ডার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক আহ্বান হয়। কাজ শেষে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে থাকে এবং কাজের টাকা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সরকারি ট্রেজারির মাধ্যমে ঠিকাদারকে পরিশোধ করে থাকে। এতে কলেজ কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই।
প্রকাশিত উক্ত সংবাদসমূহ প্রত্যাহার পূর্বক ভবিষ্যতে এমন সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সংবাদকর্মীদের সঠিক তথ্য জেনে সংবাদ পরিবেশনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এ ভিত্তিহীন মিথ্যা বানোয়াটা সংবাদে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সুধিমহলকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলো।
কলেজের যে কোন প্রকার নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক কাজ সংক্রান্ত তথ্য পেতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী জনাব আলোজ্যোতি চাকমার সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।