সংগ্রহিত ছবি
লকডাউনে জনশূন্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সত্যিই এসেছিল ডলফিন। তবে তাদের হত্যা করা হয়েছে বিভিন্নভাবে! এরপর গুজব রটলো সৈকতে ভেসে আসছে স্বর্ণ। সেই গুজব শেষ না হতেই ভেসে আসছে অসংখ্য দেশি-বিদেশি মদ, বিয়ার ও ফেন্সিডিলের বোতল। কক্সবাজার কলাতলির হ্যাচারী পয়েন্ট থেকে সায়মন বিচ পয়েন্ট পর্যন্ত দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতে গত দুই দিন ধরে শত শত মদ, বিয়ার ও ফেন্সিডিলের খালি বোতল ভেসে আসছে। দুই দিনে যেই পরিমান মদের বোতল ভেসে এসেছে বিগত ২০ বছরেরও কক্সবাজারে এতো মদের বোতল দেখা যায়নি। স্বর্ণ ভেসে আসার গুজবের পর হঠাৎ করে শত শত মদের খালি বোতল ভেসে আসার ঘটনাটি রহস্যজনক মনে করছেন অনেকেই। কক্সবাজারের সমুদ্র তীরবর্তী বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা রাশেদুল আলম রিপন বলেছেন, কক্সবাজার সৈকতের কলাতলির হ্যাচারী পয়েন্ট থেকে হোটেল সাইমনের সামনে পর্যন্ত সৈকতে কয়েক হাজার মদের বোতল, বিয়ার, ফেনসিডিল এর বোতল সহ প্লাস্টিকের বিভিন্ন বোতল জমা হয়েছে। গত দুই দিন আগেও এই সৈকতে কোন বোতল ছিলোনা।
হঠাৎ করে এতো মাদকের বোতল ভেসে আসার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। কক্সবাজার পরিবেশবাদী সংগঠন এনভায়রমেন্ট পিপলস এর পরিচালক নজরুল ইসলাম নিউজনাউকে বলেন, কক্সবাজারের অপরিকল্পিত মদের বারের কারনেই সাগরে মদ সহ বিভিন্ন মাদকের খালি বোতল ভেসে আসছে। তিনি দাবি করেন, লকডাউনের সুযোগে সগর পাড়ের মদের বার গুলো দীর্ঘদিনের জমে থাকা আবর্জনা সাগরে ফেলেছে। সেই খালি বোতলই জোয়ারের পানিতে ভেসে আসছে। কক্সবাজার সদর থানার ওসি অপারেশন মাসুম খান নিউজনাউকে জানিয়েছেন, কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের ফেলে দেয়া মদের বোতল হয়তো দীর্ঘদিন পরে ভেসে আসছে। অথবা গভীর সগরে চলাচল করা বিদেশি জাহাজ থেকে এই মাদকের বোতল ভেসে আসতে পারে।