1. dwipnews24.info@gmail.com : Dwip News 24 :
  2. editor@dwipnews24.com : Newsroom :
কীভাবে সিনহাকে হত্যা করা হয়,বর্ণানা দিল ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত | দ্বীপ নিউজ
March 21, 2023, 2:54 pm
শিরোনাম :
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসা কর্তৃক মৎস্যজীবীদের অর্থ সহায়তা প্রদান মাতারবাড়ীতে সীমানা প্রচীর নিয়ে বিরোধের জের ধরে অতর্কিত হামলা, গুরুতর আহত ১ পূণ্যভূমি সিলেট বসেছিল কক্সবাজার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের পিকনিক ও বার্ষিক সাধারণ সভা রজভীয়া নূরীয়া মহেশখালী উপজেলা শাখার অভিষেক ও শপথ অনুষ্টান সম্পন্ন ডুসাম’র নতুন নেতৃত্বে হাসান – আমিন পাঠ্যপুস্তকের অসঙ্গতি দূর ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল আল্লামা ফোরকান শাহ(রহ:) ইসলামী কমপ্লেক্সের ২৩তম বার্ষিক সালানা জলসা সম্পন্ন নবী প্রেমিক ফকির শাহ (রহ:) সংগঠনের নবগঠিত কমিটির অনুমোদন “নারী উদ্যোক্তাদের পুনর্বাসন ও পৃষ্ঠপোষকতায় সরকার বদ্ধ পরিকর” – নিজাম উদ্দিন জিটু মহেশখালীতে চোলাই মদের কারখানায় পুলিশের অভিযানে আটক ১জন; মদ সহ সরঞ্জাম জব্দ

কীভাবে সিনহাকে হত্যা করা হয়,বর্ণানা দিল ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত

  • আপডেটের সময় : শনিবার, আগস্ট ২২, ২০২০
  • 150 ভিউ

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনাটি দেড় মিনিটের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। ওই দেড় মিনিট সময়ের ঘটনার রেকি করে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করছে তদন্তের দায়িত্বে থাকা বাহিনীটি।

শুক্রবার দুপুরে সিনহা নিহতের ঘটনাস্থলে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ প্রধান তিন আসামিকে নিয়ে ঘটনার রেকির সময় এসব কথা বলেন র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তাফা সরওয়ার।

কর্নেল তোফায়েল মোস্তাফা সরওয়ারের নেতৃতে র‌্যাবের একটি দল দুপুর দেড়টার দিকে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ, এসআই লিয়াকত আলী ও এএসআই নন্দদুল্লা রক্ষিতকে নিয়ে খুনের ঘটনাস্থল বাহারছড়া শাপলাপুরে পৌঁছায়। পরে ঘটনাস্থলেই হত্যার ঘটনাটি হুবহু উপস্থাপন করে দেখানোর মাধ্যমে প্রকৃত চিত্র দেখেন র‌্যাব কর্মকর্তারা।

ঘটনার দিন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ঘটনাস্থলটি যেরকম ছিল, সেভাবেই সাজানো হয়েছিল। ঘটনার সময় মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদের ব্যবহৃত গাড়িটির মতো একটি প্রাইভেটকার রাখা হয়েছিল ঘটনাস্থলে। মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে সেদিন ঘটনাটি কীভাবে সংঘটিত হয়েছিল- তা হুবহু দেখান আসামিরা। তাদের ঘটনার বিবরণ খুব সূক্ষ্মভাবে প্রত্যক্ষ করেন র‌্যাব কর্মকর্তারা। দুপুর ৩টার দিকে রেকি সম্পন্ন হয়।

দুপুর ২টা পর্যন্ত র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তাফা সরওয়ার, র‌্যাবের আইন ও মিডিয়া উইং প্রধান লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এবং সিনহা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক সিনিয়র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম ঘটনাস্থল ও আশপাশ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। এসময় স্থানীয় লোকজনের সাথেও কথা বলেন র‌্যাবের কর্মকর্তারা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম আসামিদের তাদের কাছ থেকে ঘটনার প্রকৃত চিত্র সম্পর্কে তথ্য নেন।

দুপুরে কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে ঘটনার সাক্ষ্য গ্রহণ। হত্যা মামলার প্রধান তিন আসামি পৃথক পৃথকভাবে র‌্যাবকে ঘটনা বর্ণনা করেন।

চেকপোস্ট পরিদর্শন শেষে কর্নেল তোফায়েল মোস্তাফা সরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনাটি গভীরভাবে অ্যানালাইসিস করা হচ্ছে। এই এক-দেড় মিনিটের ঘটনাপ্রবাহ বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। এতে প্রতিটি সেকেন্ডই গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত ইতিমধ্যে সংগৃহীত হয়েছে।’

আসামিদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে কী তথ্য খুঁজতে আসা হয়েছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কর্নেল তোফায়েল বলেন, ‘কেন এই ফায়ারিংটা সংঘটিত হয়েছিল? সংক্ষিপ্ততম সময়ের মধ্যে কী এমন ঘটেছিল যে সিনহা গুলিবিদ্ধ হয়েছিল? কিংবা লিয়াকত যেটা বলছে, সিনহা পিস্তল তাক করে ফেলেছিল। এই এক মিনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে কী এমন হয়েছিল যে পিস্তল তাক করার মতো পরিস্থিতি কি আসলে হয়েছিল কি না? আর সে-ইবা কেন ফায়ার করল?’

এ ব্যাপারে অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগৃহীত হয়েছে, বলেন র‌্যাবের এ অতিরিক্ত মহাপরিচালক।

সবকিছু অ্যানালাইসিস করে র‌্যাব একটা সন্তোষজনক তদন্ত সম্পন্ন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটা কথা আছে জাস্টিস হারিড, জাস্টিড বারিড; জাস্টিস ডিলেইড, জাস্টিস ডিনাইড। তো হারিড যেন না হয় এবং ডিলেইড যেন না হয়। কোনোটাই যেন হয় সেই দুই দিক বিবেচনায় রেখে আমরা কাজ করছি।’

গত ৩১ জুলাই মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান টেকনাফের বাহারছড়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এরপর ৫ আগস্ট তার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী, নন্দলাল রক্ষিত, সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াসহ নয়জনকে আসামি করে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। পরে মামলা টেকনাফ থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হয়। এই মামলায় এজাহারভুক্ত নয় আসামির মধ্যে সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এছাড়াও পরে আসামিভুক্ত বাহারছড়ার স্থানীয় তিনজন ও এপিবিএন এর তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত © 2022 dwipnews24.net
Desing & Developed BY ThemeNeed.com
error: Content is protected !!