দ্বীপ নিউজ ডেস্ক:
ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ ১ যুগ ধরে ক্ষমতায় রয়েছে ক্ষমতাসীন এই দলটি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে আসছে যুগ যুগ ধরে।
কিন্তু সম্প্রীতি (সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচনেও (নৌকা) প্রতীকে দলীয় প্রার্থী দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি বিরোধী দল বিএনপিও দিয়েছিল (ধানের শীষ) প্রতীকে তাঁদের দলীয় প্রার্থী।
গত মহেশখালী উপজেলা নির্বাচন সহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ছিল নৌকা প্রতীক এবং ধানের শীষ প্রতীক।
আগামী ১১ই এপ্রিল নির্বাচন হতে যাওয়া মহেশখালী উপজেলার ইউনিয়ন গুলোর সর্বস্থরের মানুষের মাঝে একটি গুজব বিরাজ করেছে তা হলো নৌকা ফেলেই চেয়ারম্যান নিশ্চিত। কিন্তু কিভাবে? পূর্ব ইতিহাস কি বলে?
উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের মতো মাতারবাড়ীতেও একই গুজব প্রচলিত আছে বিগত নির্বাচন থেকে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়া খ্যাত মাতারবাড়ীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী এবং সমর্থক পর্যাপ্ত থাকলেও তাঁর স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় একমাত্র সংসদীয় নির্বাচনে। হোয়ানক, কুতুবজোম ইউনিয়নেরও একই অবস্থা।
সাধারণ প্রবীণ ভোটারদের সাথে কথা বললে জানা যায়, তাঁরা নৌকা মাঝিকেই চেয়ারম্যান হিসাবে মনস্থ করে ফেলছেন। তাঁরা এটাও মনে করেন ক্ষমতাসীন দল নৌকা কে ছাড়া কাউকে বিজয় করতে দিবেনা। নৌকা দেওয়া মানে চেয়ারম্যানি দেওয়া।
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর পূর্ব ইতিহাস কি বলে? অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার পরও বিগত ইউপি নির্বাচনে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে এনামুল হক চৌধুরী রুহুল, কালারমারছড়া থেকে সেলিম চৌধুরী, বড় মহেশখালী থেকে শরীফ বাদশা এবং বিগত উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে হোসাইন ইব্রাহীমের পরাজয় হয়েছিল। তখনও কিন্তু সাধারণ ভোটাররা মনস্থ করেছিল নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত।
জনমণে প্রশ্ন এবারে নির্বাচন কি সুষ্ঠু হচ্ছে নাকি কারচুপির মধ্য দিয়ে হবে? গণ জরিপে ওঠে আসতেছে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে উপজেলার ৩ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের লজ্জাজনক হার হওয়ার সম্ভবনা বেশি যার একমাত্র কারণ দলীয় অনেক নেতারা ইতিমধ্যে ইউনিয়ন গুলোতে বিদ্রোহী হিসাবে প্রার্থী হয়েছেন। বিভিন্ন বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূল সহ আওয়ামী লীগ সাপোর্টাররা দলকে মূল্যায়ণ করে একমাত্র জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, স্থানীয় নির্বাচনে এসে তাঁরা যোগ্য এবং পছন্দের ব্যক্তিদেরই ভোট প্রদান করে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে। যার উল্লেখযোগ্য প্রমাণ গত স্থানীয় নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
এলাকাভিত্তিক জরিপে নৌকার প্রার্থীরা তাঁদের নিজেদের আশেপাশের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের কেন্দ্র দখল করতে টার্গেট করে রেখেছে বলে জানা যায়। তা-নিয়ে সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে অসংখ্য ভোটারের মাঝে।
এবারের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধী দল বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ না করায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পাশাপাশি আরো অনেক দলীয় নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার সম্ভবনা প্রকট।
এব্যাপারে মহেশখালী থানার পক্ষ থেকে জানানো হয় মহেশখালীতে নির্বাচন হতে যাওয়া ইউনিয়নগুলোতে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবে প্রশাসন।
প্রত্যেক ইউনিয়নের ভোটারদের সাথে কথা বলায় জানা যায়, তাঁরা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার পেতে চায়। তাঁরা এটাও জানায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিরাই ওঠে আসবে।