নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ছয় নাম্বার ওয়ার্ড জালিয়াপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা মৃত ওমর কাজীর ছেলে আবসু শুক্কুর দীর্ঘদিন ধরে তার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া বসত ভিটায় বসবাস করে আসছিল।
হঠাৎ করে গেল বছরের শুরুর দিকে একদল ভুমিদস্যু দল তাদের বসত ভিটার সামনে খড়খুটো দিয়ে একটি ভাড়া দেওয়া দোকান দখল করতে এসেছিল।তৎকালীন সময় স্থানীয় মান্যগন্য ব্যাক্তিবর্গ এবং অত্র জায়গার পুর্বের মালিকদের উপস্তিতিতে স্থানীয়ভাবে একটি সুরেহা হয়েছিল বলে জানান ভোক্তভুগীর পরিবার।
স্থানীয়ভাবে হওয়া মিমাংসায় উল্লেখ রয়েছে যে,আব্দু শুক্কুরের বসত ভিটায় কাহারো জায়গা দখলে নেই বিধায় কেউ ভবিষ্যতে অত্র জায়গাতে জোর করে দখল করতে আসতে পারবে না।উভয়পক্ষ তা মেনেও নিয়েছিল বলে জানান তারা।গত কিছুদিন আগে চিকিৎসাজনীত কারনে বসত ভিটার মালিকদের অনুপস্থিতি টের পেয়ে পুনরায় জালিয়াপাড়ার মৃত হাবিল বহদ্দারের ছেলে নুর হোসেন ও নুর কাদেরের নেতৃত্বে একদল ভুমিদস্যু আব্দু শুক্কুরের বসতভিটার সামনের দোকানটি ভেঙ্গে দিয়ে ইট দিয়ে পাকা দেওয়াল নির্মান করতে গেলে স্থানীয়দের বাধার সম্মুখীন হয়।
এরপরে ভোক্তভুগী আব্দু শুক্কুর ছোট মহেশখালী ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করলে চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে শান্ত হওয়ার অনুরুধ করেন এবং দুইদিন কাজ বন্ধ করে রেখেছিল।ঠিক তার দুইদিন পরে গত ২৩মে সোমবার সকাল আনুমানিক দশ টার দিকে জালিয়াপাড়ার মৃত হাবিল বহদ্দারের ছেলে নুর হোসেন এবং নুর কাদেররের নেতৃত্বে আরও আট দশজন মিলে পুনরায় উক্ত বসতভিটার সামনের দোকানে ইট দিয়ে দেওয়াল নির্মানের কাজ পুনরায় করতে থাকলে আব্দু শুক্কুর বাধা দিতে যায়।
বসত ভিটার প্রকৃত মালিক আব্দু শুক্কুর নিজের জায়গাটি দখলমুক্ত রাখতে বাধা দিতে গেলে পরক্ষণে নুর হোসেন ও নুর কাদেরের নেতৃত্বে পাশ্ববর্তী মৃত নুর আহম্মদের ছেলে মোস্তাকের স্ত্রী বেবি আক্তার,আব্দু গণী,ফাতেমা আক্তার,জাহেদ সহ আরও ১০/১২ জন মিলে ধারালো দা,কিরিচ,লোহাড় রড়,হাতুড়ী নিয়ে তাৎক্ষণিক আব্দু শুক্কুরের পরিবারের উপর প্রকাশ্যে হামলা চালায় বলে জানান ভোক্তভুগীরা।
উক্ত হামলায় ভোক্তভুগী আব্দু শুক্কুরের স্ত্রী রোকেয়া বেগম(৩২) কে নুর হোসেন,নুর কাদের এবং বেবি আক্তারের হাতে থাকা ধারালো দা/কিরিচ দিয়ে এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে জখম করেন এবং স্থানীয় জাহেদ,ফাতেমা বেগমের হাতে থাকা হাতুড়ী দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছেন বলে জানান ভোক্তভুগীর পরিবার।পরক্ষণে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রোকেয়া বেগমকে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত ডাক্তার রোগীকে দ্রুত কক্সবাজার নিয়ে যেতে বললে রোগীর স্বজনেরা তাকে তাৎক্ষণিক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা যায়।
হামলার পর আব্দু শুক্কুর অভিযোগ করেন,মুলত আব্দু শুক্কুরের বসত ভিটার সামনে তার মালিকানাধীন দোকানের জায়গাটি পাশ্ববর্তী প্রবাসী মোস্তাকের স্ত্রী কর্তৃক অন্যের কাছ হইতে কিনেছে মর্মে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে তার পক্ষ নিয়ে জায়গাটি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিগত এক বছর পুর্বে থেকে।যেহেতু সে(আব্দু শুক্কুর) একজন দিনমজুর,তার কোন নিকটতম প্রভাবশালী আত্মীয়স্বজন নেই সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।পরিশেষে প্রবাসী মোস্তাকের স্ত্রী বেবি আক্তার তার মিশনে সফলও হয়েছেন বলে জানান আব্দু শুক্কুর।
উক্ত বিষয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আব্দুল হাই (পিপিএম) এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত মহেশখালী থানায় লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান।