মরণব্যাধি করোনা (কোভিড-১৯) এর আক্রমনে যখন অসহায় হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব। আমজনতা থেকে শুরু করে পেশাজীবি এমনকি কতিপয় জনপ্রতিনিধিও যখন নিজেকে নিরাপদ রাখতে চলে গেলেন আইসোলেশনে এমন পরিস্থিতিতে নিজের জীবনের মায়া না করে নগরবাসীর সেবায় প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন।
জনগণের কথা চিন্তা করে ঝুঁকি নিয়েই ছুটে চলেছেন নগরীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। কখনো ছিটিয়েছেন জীবানুনাশক ,চালিয়েছেন মশক নিধন কার্যক্রম করোনা থেকে নগরবাসীকে বাঁচাতে নিয়েছেন বিভিন্নরকম উদ্যোগ।
বাড়িয়েছেন চিকিৎসা সেবার পরিধি। জনসাধারণ যাতে ঘরে থাকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে কর্মহীন দরিদ্র পরিবারের মাঝে বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগীতার হাত।
সরকারী ত্রাণ সামগ্রীর পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নের খাবার বিলিয়েছেন অকাতরে, বিতরণ করেছেন নগদ অর্থও। নিজস্ব তহবিল থেকে ২ মাসে ১ কোটি টাকার অধিক নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন , ২৬ হাজার সাধারণ জনগণ, প্রায় ৭ হাজার পরিবহন শ্রমিক, ৪৩ টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের ৬৪৫০ জন দলীয় নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও পত্রিকার হকার, বিভিন্ন মার্কেটের শ্রমিক ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করেছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ।
ইউএনডিপি ইউকে-এইড এর সহায়তায় ১৫ শ টাকা করে বিতরণ করেছেন ২০ হাজার মানুষের মাঝে। তাঁর এই সেবা থেকে বাদ যায়নি পশুপাখিও। রাস্তার কুকুরদের জন্যও তিনি খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নিম্ন আয়ের মানুষদের সাথে আলাপকালে তারা মেয়রের এই কর্মকান্ডকে জনসেবার উজ্জল দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপিত করেছেন।
বাকলিয়া এলাকার দিনমজুর আমিন,রফিক আলম, ইদ্রিস বলেন করোনার এই মহামারিতে আমাদের সিটি মেয়র নাছির সাহেব যেভাবে দিনরাত জনগণের পাশে ছিলেন তা আমরা কখনো ভুলবনা।
তিনি না থাকলে হয়তো অনেকেই না খেয়ে থাকতো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফিরিঙ্গী বাজার হালিশহর অলংকার এলাকার অনেকেই বলেছেন মেয়রের সাথে আমাদের দলীয় মতাদর্শে পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু সত্যিকার অর্থে এই মহামারিতে তিনি যেভাবে কাজ করেছেন তা প্রশংসার দাবীদার।
লালখান বাজার ও অক্সিজেন এলাকার কয়েকজন বলেন চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক জনপ্রতিনিধিদের মাঠে না থাকার অভিযোগ যেমন আছে আবার ত্রাণের অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী আত্মসাতের রেকর্ডও আছে অনেক।
আর এই পরিস্থিতিতে মেয়র আ.জ.ম. নাছির সুষ্ঠু বন্টনতো করেছেনই বরং নিজের পকেট থেকে হাজার হার্জা মানুষকে পাশে থেকে যেভাবে সহযোগীতা করেছেন তাতে তিনি নিজের বিশালতার পরিচয় দিয়েছেন। চট্টগ্রামের নগরবাসী এর চেয়ে ভাল সেবক আর পাবে বলে আমাদের মনে হয়না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক দলীয় কর্মীরা বলেছেন আমি নাছির ভাইয়ের গ্রুপ করিনা কিন্তু করোনা পরিস্থিতিকে তাঁর মহানুভবতার কাছে আমরা হেরে গেছি। দিন থেকে রাত অবদি তিনি নগরবাসীর জন্য যে শ্রম দিয়েছেন তা সত্যিই বিরল।