আ ন ম হাসান:
মহেশখালী পৌরসভার ১,২,৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর রহিমা কবির , সফল জননী ক্যাটাগরিতে কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি পাওয়ায়, মহেশখালী পৌরসভার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় ৷
২৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহষ্পতিবার) মহেশখালী পৌর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনায় পৌর মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া বলেন-
জনাবা রহিমা কবির আমাদের পৌরসভার একজন সফল নারী এবং গর্বিত মা ৷ উনার জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে রয়েছে আমাদের জন্যে শিক্ষার অংশ ৷ সামাজিক শত বাধা ও নানান প্রতিকূলতার মাঝেও তিনি তার সকল সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করতে পেরেছেন বলে আজ জেলার মুখ উজ্জ্বল করতে পেরেছেন ৷ আমি পৌরসভার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি্, এবং সম্মানিত বোধ করছি ৷
সম্মাননা প্রদানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া, পৌর সচিব নুর মোহাম্মদ চৌধুরী, উপসহকারী প্রকৌশলী সাইদুল আলম, প্যানেল মেয়র মংলায়েন, কাউন্সিলর আব্দু শুক্কুর, হামিদুর রহমান, আজিজ মিয়া, রতন কান্তি দে, মকছুদুল আলম, সঞ্জিত চক্রবর্তী সহ পৌরসভার সকল কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ৷
উল্ল্যেখ যে, গত ১১ই ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি,সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তারের কাছ হতে
সফল জননী ক্যাটাগরিতে জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা গ্রহণ করেন রহিমা কবির ৷
ব্যাক্তিগত জীবনে প্রয়াত স্বামী কবির আহমদ টি এন্ড টি স্টাফ ছিলেন ৷ ৩ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে সদ্য প্রয়াত সন্তান ওমর ফারুক মহেশখালী উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজ কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন ৷ মেজো সন্তান আনোয়ার সাদাত (ভ্যাট এক্সাইট কাস্টমস, ঢাকা) রাজস্ব কর্মকর্তা, মেয়ে কোহিনুর ইয়াছমিন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার, এবং ছোট ছেলে মোঃ ইয়াছিন আরাফাত হাটহাজারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন ৷
১৯৮৭ সনে রহিমা কবির তার স্বামীকে হারান ৷ স্বামীর মৃত্যুর পরে চার নাবালক সন্তানকে বুকে নিয়ে শোককে শক্তিতে রুপান্তর করে সংগ্রামী জীবন শুরু করেন ৷ তিনি মহেশখালী পৌরসভার তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন ৷