চট্টগ্রামে ছোট চাকুরী করা ছাত্রলীগের সাবেক একজন কর্মী লজ্জা বুকে চেপে ছাত্রলীগের অন্য এক নেতার নিকট ম্যাসেঞ্জারে সাহায্য প্রার্থনা করছেন। বিভিন্ন সাম্প্রতিক পারিবারিক অবস্থা কিছুটা নাজুক হয়ে পড়া সত্বেও ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীবান্ধব এক কেন্দ্রীয় নেতার অনুপ্রেরনায় সে সাধ্যানুযায়ী কর্মীদের সহযোগীতা করে যাচ্ছে দেখেই অনন্যোপায় হয়ে বুকে চাপা কষ্ট নিয়ে তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছে।
ঐ ছাত্রনেতা তার ফেসবুকে সাহায্যপ্রার্থীর নাম পরিচয় গোপন রেখে ম্যাসেঞ্জারের স্ক্রিনশটসহ একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস প্রদান করে।ম্যাসেন্জারে তার লিখাগুলো পড়েই বুজতে বাকি থাকে না ছাত্রলীগ করা ছেলেগুলো কেমন আছে! এহেন করুন,শোচনীয় অবস্থা অনেকেরই যারা সামাজিক এবং লোকলজ্জায় সর্বোপরি ফেসবুকে ছবি ছাপার বিব্রতকর প্রতিযোগিতার কারণে প্রকাশ করতে পারছে না।
যে ছাত্রলীগ নেত্রীর নির্দেশে কৃষকের সহায়তায় জন্য কাস্তে হাতে মাঠে নেমে পড়েছে ধান কাটতে, ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে নিজেদের গড়া ল্যাবে নিজেরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়ে দেখিয়েছে, গ্লাভস, মাস্ক বিতরণের মাধ্যমে মানুষকে কিভাবে নিরাপদ রাখতে সহযোগীতা করা যায়। মহেষখালীর লবন চাষীদের উত্তোলনে সহযোগীতা করেছে স্থানীয় ছাত্রলীগের একদল কর্মী।
সারাদেশে কর্মহীন ক্ষুধার্থ মানুষকে নিজের পকেট খরচের টাকা দিয়ে নগদ সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ক্যাম্পাসে ও ছাত্রলীগ তার মানবিকতার স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছে। টিএসসিতে সন্ধ্যায় গেলে দেখা যায় ডাকসু সদস্য, ছাত্রলীগনেতা সৈকতের দু:সাহসী কর্মযজ্ঞ, মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহযোগিতায় যেভাবে হাজার হাজার ছিন্নমূল মানুষের ইফতার-রাতের খাবার-সেহরীর ব্যবস্থা করছে,তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। এসময়ে প্রিয় নেত্রীর এই ছাত্রলীগ’ই তো মানবতার দূত। জানা কথা সুশীলরা অন্ধ, তাতে কি জাতি আজ দেখছে অন্য এক ছাত্রলীগ।
প্রতিদিন নিজের ম্যাসেঞ্জারে সারাদেশের হাজার হাজার বর্তমান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের অসহায়ত্ব আর কষ্টের কথা পড়লে বুক ভারাক্রান্ত হয়ে পরে। ক্ষুদ্র সামর্থ্যে চেষ্টা করে কতটুকুই বা করা যায়!
যারা সবসময় মনে করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মুখে হাসি থাকলে সেই হাসি প্রিয় নেত্রীর মুখের হাসি, তারা সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে! এই মহা দুর্যোগে এতে আর কি হয়!
এই মুহুর্তে সবসময়ের ন্যায় নেত্রীই এই অসহায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের শেষ ভরসা। সংগত কারণে সরকারী সাহায্যের জন্য তাদের হাত পাতাও সম্ভব না।এমতাবস্থায় দল থেকে একটা বিশেষ ফান্ড তৈরির কোন বিকল্প নাই। অভিভাবক সংগঠনের মানবিকতার ছোঁয়া যেন অঙ্গ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনে পড়ে।
আমার শতভাগ বিশ্বাস জয়-লেখক নেত্রীর কাছে পরিস্থিতি তুলে ধরলে বিষয়টি প্রিয় নেত্রী অত্যন্ত সহানভূতির সাথে দেখবেন।ভালোবাসা ও শুভকামনা রইলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতি।
সাবেক ছাত্রনেতা শাহজাদা মহিউদ্দিনের ফেইসবুক ওয়াল থেকে সংগৃহিত।ফাই