দ্বীপ নিউজ ডেস্ক:
বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের এবং বন্যার পানি যখন তলিয়ে নিয়ে গেলো ইউনিয়নের একাংশ। কিবা করার তাঁকে আর, ঘর বাড়ী ছেড়ে স্থানান্তর না হয়ে।
মহেশখালী উপজেলার আওতাধীন ২নং ধলঘাট ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিলুপ্তির কারণে উক্ত ইউনিয়ন পূর্ণগঠনের লক্ষে এক বিশাল নাগরিক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার ১৩ই ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টায় স্থানীয় দক্ষিণ সুতরিয়া মাঠ প্রাঙ্গনে, ধলঘাটা নাগরিক কমিঠির আয়োজনে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য মহেশখালী উপজেলার অন্তর্গত ২নং ধলঘাটা ইউনিয়ন বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী তিনদীকে সমুদ্র বেষ্টিত একটি উপকূলীয় এবং নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা। নদী ভাঙ্গনের কারণে সম্প্রীতি ধলঘাটা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সম্পূর্ণভাবে এবং ৩ ও ৮ নং ওয়ার্ড আংশিকভাবে বিলুপ্ত হয়েছে। ফলে উক্ত ওয়ার্ড সমূহের বাস্তহারা ভোটাররা বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর সহ স্থানান্তর হয়ে যায়। বর্তমানে ৪নং ওয়ার্ডের কোন লোকজন এর বসতি নাই এবং ৩ ও ৮নং ওয়ার্ডের আংশিক বাড়ীঘর রয়েছে।
ফলে উক্ত এলাকার সাধারণ জনতা সুষম প্রতিনিধীত্বের এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পূর্বেই অত্র ইউনিয়ন পূর্ণগঠনের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা এবং গণস্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
বিলুপ্ত ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান চিত্র
নাগরিক কমিঠি কতৃক আয়োজিত উক্ত মতবিনিময় সমাবেশে আবু হানিফের সঞ্চালনায়, শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেলের বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় এবং প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান। আরো বক্তব্য রাখেন আব্দুল হামিদ, বাবু রমদির, ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি নবীর হোছাইন আজাদ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা, ধলঘাটা ব্যাংক এশিয়ার পরিচালক গিয়াস উদ্দিন, সাবেক এমইউপি আব্দুল আজিজ, চেয়ারম্যান কামরুল এবং মতামত প্রকাশ করেন অসংখ্য সচেতন এলাকাবাসী।
চেয়ারম্যান কামরুল হাসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, উক্ত এলাকার কিছু মানুষরাই ইউনিয়ন বিলুপ্তির জন্য এমন কাজ শুরু করেছেন। আমি মোক্তার আহমদ চৌধুরীর ছেলে কামরুল বেঁচে থাকতে ধলঘাটা ইউনিয়নের অস্থিত্ব বিলীন হতে দিব না।
তিনি আরো বলেন, আমাকে আপনারা প্রতিনিধি পূর্ণরায় নির্বাচন করেন বা না করেন আমি শত মামলা করতে হলেও বিলুপ্ত ওয়ার্ডগুলো পূর্ণগঠন করে আধুনিক ধলঘাটায় রুপান্তর করব। পরিশেষে তিনি এলাকাবাসীর দোয়া কামনা করেন।