প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আজ শনিবার (২৮ নভেম্বর) থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি চলছে সারাদেশের ২৬ হাজার স্বাস্থ্য পরিদর্শক,সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের। বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন দাবি আদায় বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ এ কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। তাদের কর্মবিরতির ফলে সারা বাংলাদেশের ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকা দান কেন্দ্রে মধ্যে প্রতিদিন ২০ হাজার কেন্দ্র থেকে মা ও শিশু টিকা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
কর্মবিরতি চলাকালীন সময় টিকাদান কাজবন্ধ করে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা সকাল ৮টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মনি পতাকা নিয়ে স্ব-স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করেছেন। তাদের দাবিটি হলো “নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরির্দশক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩তম গ্রেডে উন্নীতকরণ”।
বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন দাবি আদায় বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য, চট্রগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি ও কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির উদ্দিন বলেন আমাদের এ তৃণমূল স্বাস্থ্য সহকারীদের কাজের অর্জনেই আজ বাংলাদেশ টিকাদানে বিশ্বের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গণ থেকে বাংলাদেশ যতটি পুরষ্কার পেয়েছেন তা একমাত্র আমাদের অর্জনের মাধ্যমেই। তার পরও সরকারের সকল কর্মচারি থেকে আমরা নানান বৈষম্য শিকার। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যারা গৃহপালিত প্রাণীর চিকিৎসা প্রদান করেন তারা আজ বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যায় ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন, সৃষ্টির সেবাজীব মানব শিশু স্বাস্থ্য ও মাতৃ স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার পরও তৃণমূল আমাদের এ স্বাস্থ্য সহকারীদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি এখনো।
আমাদের দাবিটি ন্যায় সংঙ্গত। আমরা ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র আমাদের বেতন বৈষম্য নিরসনের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০১৮ সালে ২ জানুয়ারি তৎকালিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি এবং চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আমরা হাম-রুবেলা ক্যাম্পইন বর্জন করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালক মহোদয় আমাদের দাবি সমূহ মেনে নিয়ে যে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। আমরা এসব পূর্বঘোষিত প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই।
তাই আমাদের নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে সারা দেশের ১ লাখ ২০ হাজার আউটরিচ রুটিন টিকাদান কেন্দ্রের ইপিআই কার্যক্রম অনিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছি এবং আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন কার্যক্রম থেকেও বিরত থাকব। দাবি পূরণে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পযর্ন্ত এ কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।