দ্বীপ নিউজ ডেস্ক:
নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) থেকে কর্মবিরতি চলছে সারাদেশের ২৬ হাজার স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশর দাবি বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ এ কর্মবিরতীর ঘোষণা দেন। সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজার জেলার ০৮টি উপজেলায়ও এই কর্মবিরতি চলছে৷ তাদের কর্মবিরতির ফলে সারা দেশের ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকা দান কেন্দ্রে মধ্যে প্রতিদিন ২০ হাজার কেন্দ্র থেকে মা ও শিশু টিকা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে।
কর্মবিরতি চলাকালীন সময় টিকাদান কাজবন্ধ করে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা সকাল ৮টা থেকে ৩টা পর্যন্ত স্ব-স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করেছেন।
তাদের দাবি “নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরির্দশক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৬তম থেকে যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩তম গ্রেডে উন্নীতকরণ”।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের দাবি আদায় বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক শেখ রবিউল আলম খোকনের পক্ষে কক্সবাজার জেলা সভাপতি এম.এনামুল হক এনাম বলেন, আমাদের এ তৃণমূল স্বাস্থ্য সহকারীদের কাজের অর্জনেই আজ বাংলাদেশ টিকাদানে বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে এবং সরকার প্রধান পেয়েছে ৭টি সম্মাননা পুরষ্কার। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভ্যাক্সিনেশন এন্ড ইমুনাইজেশন মাননীয় প্রধানমস্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভ্যাকসিন হিরো উপাধিতে ভূষিত করেন। এ সম্মাননা গুলো অর্জনে একমাত্র কারিগর স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীগন। আমরা দাবি আদায়ের লক্ষে গত একমাস আগে স্বাস্থ্য সহকারীদের পক্ষ থেকে পুরো দেশের জেলা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে স্মারকলিপি প্রদান করি। আমাদের দবিটি ন্যায় সংঙ্গত দাবি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের এক মহাসমাবেশে আমাদের বেতন বৈষম্য নিরসনের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০১৮ সালে ২ জানুয়ারি তৎকালিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেন।
এছাড়া চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আমরা হাম-রুবেলা ক্যাম্পইন বর্জন করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব ও মহাপরিচালক মহোদয় আমাদের দাবি সমূহ মেনে নিয়ে আমাদের কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের সাথে যে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। আমরা এই সকল প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়।
তাই আমরা নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আজ ২৬ নভেম্বর থেকে দেশের ১ লাখ ২০ হাজার আউটরিচ রুটিন টিকাদান কেন্দ্রের ইপিআই কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি এবং আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন কার্যক্রম থেকেও বিরত থাকব। দাবি পূরণে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পযর্ন্ত এ কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।