সংবাদ বিজ্ঞাপ্তি:
“মহেশখালী পৌর ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনে দাবি, নিরীহ লোকজনের নামে মিথ্যা প্রচারণা বন্ধের আহ্বান, মাদক কারবারিদের দ্রুত গ্রেফতার করুন”
মহেশখালী পৌর এলাকায় গড়ে ওঠা ইয়াবা সিন্ডিকেটের গড়ফাদাদের গ্রেফতার দাবি এবং ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দসহ নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক মিথ্যা প্রচারণা বন্ধের দাবিতে মহেশখালীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মহেশখালী পৌর ছাত্রলীগ।
গতকাল বিকেল ৩ টায় মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যলয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্ত্য পাঠ করেন মহেশখালী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান মোরশেদ। বক্তব্যে তিনি পৌর এলাকার মাদকের নানা তৎপরতা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য দেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন -২০১৮ মে মাসের শুরুর দিকে দেশে মাদক তথা ইয়াবা বিরুধী অভিযান শুরু হয়। অভিযান শুরুর পর থেকে বিভিন্ন দাগি মাদক কারবারি নানা ভাবে আইনের আওতায় চলে আসেলেও মহেশখালী পৌর এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা সম্রাট সালা উদ্দিন গ্রেফতারের বাইরে থেকে গেছে। যার ফলে এলাকায় মাদকের বিস্তার যেমন রাধ করা যাচ্ছে না -তেমনি ভাবে মাদকের কারণে একটি প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে বলা হয় -তিনি ইয়াবা পাচারের জন্য এক এক সময় এক এক কৌশল অবলম্বন করে। কখনও সিএনজি চালিত টেক্সি, কখনও প্রাইভেট নোহা আবার কখনওবা প্রাইভেট কার এর মাধ্যমে ইয়াবা বহন ও পাচার করে আসছে। সম্প্রতি তার বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্য মানের ৬ লাখ ২২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার কওে পুলিশ। আর আগে ২০১৯ সালে পাচারের সময় ৫ লাখ পিস ইয়াবা নিয়ে প্রাইভেট গাড়িসহ সালা উদ্দিনের ড্রাইভার র্যাবের হাতে আটক হয়।
২০১৬ সালে ঢাকায় ৩ লাখ ইয়াবা নিয়ে সালাহ উদ্দিন তার দুই সহযোগীসহ পুলিশের হাতে আটক হয়। এ সবের পরেও এই ইয়াবাচক্রটি ক্ষান্ত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন সার্বিক ভাবে এ চক্রটির বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু ঠিক তখনই আইনের চোখে ধুলা দেওয়ার মানসে শনিবার কক্সবাজারে সংবাদ সম্মেলন করে তার ভাইপো মানিকের স্ত্রী ও সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী নানা মিথ্যাচার করে। এটা একটি মিথ্যা অপকৌশল।
মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীরা নির্লজ্জ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন -সালা উদ্দিনের ভাইপো মিশকাত সিকদার এর চাচার অবৈধ টাকার পাহাড় থাকার কারণে কাল্পনিক আশা করে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বচনী প্রচারণা চালানোর জন্য ভুল চিন্তা করে আছে।
তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর রক্তের সারথি। তাদেরকে অবৈধ লোভ দেখিয়ে লাভ হবে না। ইয়াবা উদ্ধারের দিন তারা তা দেখিয়েছেও। এলাকার জনগন জেনেগেছে টাকার পাহাড়ের রহস্য। লিখিত বক্তব্যে বলা হয় -বঙ্গবন্ধু তথা দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীক নিয়ে দুই বারের সফল মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সদস্য ও মহেশখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আলহাজ মকসুদ মিয়া মহেশখালী পৌরসভাকে স্বপ্নের সফল পৌরসভা হিসেবে গঠনের অনবধ্য মিশন নিয়ে যখন এগিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায় এই ইয়াবা কারবারি সালা উদ্দিন।
এ সময় বাধা দিতে চাইলে মেয়রের দুই সহকারী গুলিবিদ্ধ হয় এবং আরও দুই জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। দিনের মত সত্য এ ঘটনাকে আড়াল করতে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পিত মিথ্যাচার করে নিজেদেরকে হাস্যকর ভাবে আহত দাবি করা হয়।
তিনি দ্রুত সময়ে নৌকার প্রার্থী মেয়র মকসুদ মিয়াকে গুলি করতে আসা ও দুইজনকে গুলি করে মুমূর্ষু করা এবং ইয়াবার বিশাল চালান উদ্ধার হওয়া সালা উদ্দিনসহ তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। একই সাথে তাকে জড়িয়ে পত্রিকায় মিথ্য সংবাদ পরিবেশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি নিরপেক্ষ অনুসন্ধান করে সত্য সংবাদ পরিবেশনের জন্যও আহ্বান জানান।