নিজস্ব প্রতিনিধি:
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি সাইরার ডেইল প্রকল্প এলাকার ২নং গেইট সংলগ্ন একটি কুলিং কর্ণারের দোকান থেকে বিদেশি মদসহ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা মাসুম (২৭) নামে এক দোকান কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানান মাতারবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (আইসি) এসআই সাখাওয়াত হোছাইন।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, পাশ্ববর্তী বদরখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ আব্বাসের মালিকানাধীন কুলিং কর্ণার ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলো এই মাদক কারবারি। কুলিং কর্ণারের দোকানটিতে তাঁরা বিদেশী মদ ও বাংলা মদ বিক্রি করে আসছিলো দীর্ঘদিন ধরে। এ মদ ব্যবসার মূলহোতা দোকান মালিক বদরখালীর ব্যবসায়ী আব্বাস। এই আব্বাসের ছত্রছায়ায় চাকরির আড়ালে মাসুম মদের ব্যবসা শুরু করে এবং বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য যে কিছুদিন আগেও আটককৃত মাসুমকে সাতকানিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে বলে জানা গেছে। গডফাদার আব্বাস চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের লম্বাখালী গ্রামের নুর হোসেনের পুত্র বলে জানা যায়। আটককৃত মাসুম বদরখালীর আব্বাসের শালা বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হাই জানান- মাদক বিক্রির ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাখাওয়াত আরও জানান- আটককৃত মাসুমকে মহেশখালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হবে।
সূত্র জানায়, মাতারবাড়ী সাইরার ডেইলের প্রকল্প এলাকায় দীর্ঘদিন কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের চাকরিজীবীদের মাদক সরবরাহ করতো এই চক্র। বদরখালী থেকেই এই মাদক মাতারবাড়ী প্রবেশ করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানায়, সাইরার ডেইল দোকানে মাদক আসে সিএনজি সহ নির্দিষ্ট তাঁদের কিছু গাড়ীতে করে। অর্ডার অনুযায়ী বদরখালী থেকেই আসে এসব। বদরখালীতে আব্বাস নামের এই মাদককারবারির বিশাল গোডাউন থাকার সন্দেহও প্রকাশ করেন।
মাতারবাড়ী এক সচেতন নাগরিক বলে, মাতারবাড়ীর অলিতেগলিতে মাদকদ্রব্যের ছড়াছড়ি। এসব অতদ্রুত নিয়ন্ত্রণ না করলে অদূর ভবিষ্যতে সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলেও আশঙ্কা করেন। তাছাড়া, বহিরাগত মাদক কারবারিরা মাতারবাড়ী এসে অবৈধ এই ব্যবসা চালিয়ে মাতারবাড়ী মানক্ষুন্ন হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।