“সাহেদ” সাতক্ষীরার অধিবাসী। মেট্রিক পাশ। তিনি যেমন আলোচিত তেমনি কুখ্যাত একটি নাম। শাহেদের একটি বক্তব্য তুলে ধরলাম। “তিনি মিডিয়ায় বলেছেন তার” মা” চিকিৎসার অভাবে মারা যায়। তাই তিনি সমাজে কারো মা,বোন যেন তার মায়ের মত বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় সে কারনে তিনি একটি হাসপাতাল প্রতিষ্টা করেন।”
এই সেই হাসপাতাল যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন নিয়ে চিনিমিনি খেলেছেন। করোনা রোগীকে নেগেটিভ সার্টিফকেট দিয়ে হাজার কোটি টাকা উপার্জন করে বিদেশে দেশের ভাবমুর্তি মারাত্মক ভাবে ক্ষতি সাধন করেছেন।এই সেই রিজেন্ট হাসপাতাল।যেইটা ছিল সাহেদের হাজার অপকর্মের মুলভিত্তি।
এই দোষ কার? কে বা কারা এই হাসপাতাল অনুমোদন দিয়েছেন? এই দোষ কেউ এড়াতে পারেন না। কারন বাংলাদেশের প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে এই অপকর্ম তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন অনেক কাল থেকে । কেউ তাদের বাধা দেয়নি বরং আরো অনুপ্রানিত করেছেন যার কারনে তাদের এত দুঃসাহস এত স্পর্ধা।
প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের বড় বড় নেতা কিংবা বড় আমলাদের সাথে তাদের দহরম মহরম ছিল।কেউ তাদের এই অপকর্মগুলো খতিয়ে দেখেননি,বরং উৎসাহ যুগিয়েছেন ফলে তাদের ঐদ্ব্যত্যপুর্ন দাম্ভীকতা আরো গতিশীল হয় এবং দেশের ধ্বংসাত্বক ডেকে আনে।
কোটি কোটি মানুষের এই অপুরনীয় ক্ষতির দায়ী কে নিবে?
মানুষ সাধারনত ডাক্তার,হাসপাতাল,নার্স ও স্বাস্থ্যবিভাগের প্রতি আস্থাশীল হয়।কিন্তু স্বাস্থ্যবিভাগেরও কি উচিত ছিলনা সাধারন মানুষের নিরাপত্তা দেয়া, উচিত ছিলনা সরকারের বেতন খেয়ে সরকারে সঠিক দায়িত্ব পালন করা। সেই মরনঘাতী হাসপাতালের অনুমোদন কার স্বাক্ষরে হয়েছেন,কে দিয়েছেন,কার প্ররোচনায় হয়েছেন,কেউ কি জনগনের কাছে জবাব দিতে পারবেন?পারবেন না, প্রত্যেক অপরাধীরা এখন বলবেন, আমি খেয়াল করি নাই,আমার ভুল হয়েছেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখন জনগন তথা সরকারের হাজার কোটি টাকার খেসারত কি ভুলের ভিতর বিলিন হয়ে যাবে?সরকারের ভাবমুর্তি বিলিন করে আপনি পারপেয়ে যাবেন? তা কি হয়?
জনগন শ্রদ্ধা রেখে সরকারের কাছে নিবেদন করেন,টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত যারা দলে থেকে রাজনীতি কে পুঁজি করে ফায়দা লোটায় তাদেরকে চিহ্নিত করুন এবং দুস্কৃতকারীদের খোজে বের করে দৃষ্টান্ত মুলুক শাস্তির ব্যবস্থা করা,হউক ।জনগনের একমাত্র একটায় দাবী।
জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন। বাংলাদেশে অনেক কাল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে দলের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অপরাধীরা জঘন্য অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসতেছেন।একজন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন দলের হাইব্রীট বিশেষজ্ঞ নীতি নির্ধারকদের চিহ্নিত করে ধরপাকড় শুরু করেছেন তখন অপরাধীরা পালানোর পথ খোজে পাচ্ছেন না। জঘন্য অপরাধীদের মধ্যে কতিপয় অপরাধী যেমন সাহেদ, ডাঃসাবরিনা, সম্রাট, পাপিয়া, শামীম উল্লেখযোগ্য অপরাধীরা গ্রেফতার হয়েছেন, আরো চিহ্নিত অপরাধী গ্রেফতারের ধারাবাহিকতা অব্যহত রেখেছেন,এবং দলে বহির্গমন প্রতিরোধ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের কালো টাকার মালিকদের ধরপাকড় শুরু করেছেন ,এত বড় অপরাধী সাহেদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। এর জন্য আপামর জনগনের পক্ষ থেকে মানবতার মা, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাচ্ছি, প্রান ঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
লেখকঃ মাষ্টার মঞ্জুরুল আলম
সহকারী প্রধান শিক্ষক
শাপলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মহেশখালী।