নিউজ ডেস্ক:
জেলা ক্রীড়া সংস্থার ভাবমূর্তি নষ্ট এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয় খালেদ মো. আজম বিপ্লব। তবে নিষিদ্ধের ১ বছর শেষ না হতেই কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এছাড়াও জেলা ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
গতকাল সোমবার (২৪ জুলাই) কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ গোলরক্ষক আনিছুর রহমান জিকুর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিপ্লব।
২০২২ সালে ডিসি গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার দায়ে খালেদ মো. আজম বিপ্লবকে ৩ বছরের জন্য বহিস্কার করে কক্সবাজার ক্রীড়া সংস্থা। ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয় শাস্তিকালীন সময়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোন প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বিপ্লব। এছাড়াও শাস্তিকালীন সময়ে কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবেন না তিনি। তবে তার কোনটিই মানছেন না বিপ্লব। সগর্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামে প্রবেশসহ ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট কাজে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন তিনি। ওই বহিষ্কারাদেশে আরো দুয়েকজনকেও বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয় ।
খালেদ মো. আজম বিপ্লব বহিস্কার হওয়ার পূর্বে সদর উপজেলা ফুটবল দলের কর্মকর্তা ছিলেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার এক কার্যনির্বাহী সভায় ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য ডিসি গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে মহেশখালী ও সদর উপজেলা দলের খেলা শেষে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার দুয়েকজন সদস্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করায় বিপ্লবসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি আরোপ করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিপ্লবকে ৩ বছরের জন্য ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট যে কোন প্রোগ্রাম থেকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়াও তাকে ৩ বছরের মধ্যে স্টেডিয়ামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন। তার এ হামলায় সুনাম নষ্ট হয় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কর্তৃক পরিচালিত গোল্ডেনকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের।
বহিষ্কার হওয়া সত্ত্বেও জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রোগ্রামে উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিপ্লব বলেন, বিষয়টি হাইকোর্টে রিট করেছি। হাইকোর্টের অর্ডার আমার বিরুদ্ধে গেলে আমি স্টেডিয়ামে যাবো না। তবে রিটের কোন কাগজপত্রের কথা উল্লেখ করেননি তিনি।
বিপ্লবকে নিষিদ্ধ করার পরও জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রোগ্রামে কি করে অংশ গ্রহণ করে সে বিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি অতি. জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, আমি একটি প্রোগ্রামে রয়েছি বিষয়টি নিয়ে আপনি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলতে পারেন।
পরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনকে বিষয়টি জানতে চেয়ে ফোন দিলে তিনি বলেন, বিপ্লব জেলা ক্রীড়া সংস্থার হয়ে প্রোগ্রামটিতে অংশগ্রহণ করেনি। তিনি বাংলাদেশ ফুটবল এসোসিয়েশন(বিএফএ)’র সদস্য। সে হিসেবে ( বিএফএ)’র হয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রোগ্রামে এসেছে। অন্য সংস্থার ব্যাপারে আমাদের করার কিছু ছিলো না। তার যেহেতু শাস্তিকালীন সময় এখনো চলছে তাকে আমরা কোন প্রোগ্রাম বা ক্রীড়াতে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিই না। তবে বিপ্লব নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করছেন বলে জানিয়েছেন আমাদের । কিন্তু কোন কাগজপত্র আমাদের দেয়নি। যদি হাইকোর্টের রায় আসে তাহলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাজে সে অংশগ্রহণ করতে পারবে।