ডেস্ক নিউজঃ-
মহেশখালীতে খরিদকৃত জমি দখল করতে এক ধরনের ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনীর দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি সময়ে মহেশখালীতে সরকারের মেঘা প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কারনে জমির মূল্য এখন সোনার হরিণ মহেশখালী দ্বীপে।
উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এখন জমি দখলের কাজ করতে এক ধরণের লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে উঠেছে।
তাদের মূল কাজ হলো খরিদ কৃত জমির মালিকদের বিপক্ষে গিয়ে জবর দখল করে দেওয়া।
এমন একটি ঘটনা ঘটলো মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের দৈলার পাড়া গ্রামে।
মহেশখালী থানায় দায়ের কৃত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, কুতুবজোম মৌজার বিএস খতিয়ান নং ১৩৩৬, বিএস দাগ নং২৩৭৩,২৫৮৯,২৫৮৩, জমির পরিমান ৮০ কড়া। এই জমির খরিদ সুত্রে মালিক স্থানীয় মৃত আলহাজ্ব কাজী আহমদ রেজা খানের পুত্র কাউছার আহমদ রেজভী। তিনি বিগত ১৯৯৬ সালে এই জমি মোহাম্মদ জিন্নাহর কাছ থেকে খরিদ করে , উক্ত জমিতে চাষাবাদ করে ভোগ দখল করে আসছে। হঠাৎ করে স্থানীয় আজম খান নামের এক ব্যক্তির লোলপদৃষ্টি পড়ে উক্ত জমির উপর। ফলে জমিটি দখল করতে স্থানীয় জমি দখলকারী হিসাবে পরিচিত আজম খান নামের এই ব্যক্তির ইন্দনে গত ২৩ জুন জমির প্রকৃত মালিক কাউছার মাহমুদ রেজভী গং চাষ করতে গেলে জিন্নাহ’র নির্দেশে ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী আজম খানে’র লোকজন হামলা করে জমির মালিকদের তাড়িয়ে দেয়।
এরপরে গতকাল ২৭ জুলাই দুপরে আবারো জমির মালিকরা জমিতে চাষ করতে গেলে ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী আজম খানে’র লোকজন প্রকাশ্যে দিবালোকে জমির মালিকের পুত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হামিম রেজা শাফায়াতকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত, মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয় ।
এই ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মহেশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার কথা জানান।
এদিকে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আজম খান একজন ভাড়াটিয়া জমি দখলকারী হিসাবে এলাকায় পরিচিত প্রায় সময়ে নিরহ মানুষের বিপক্ষ গিয়ে মানুষের জমি
দখল, বাড়ি দখল এমনকি এলাকা ভিত্তিক একটি গ্রুপ সৃষ্টি করেছেন বলে জানা গেছে।
সালিশি বৈঠকের বিষয় নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে ভীতি ও আতংক সৃষ্টি করে তার লাঠিয়াল বাহিনী ।
এই বাহিনীর কাছ থেকে পরিত্রাণ পেতে উপজেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।