মিছবাহ উদ্দীন (আরজু), মহেশখালী:
মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউপিস্থ নয়াপাড়া উত্তরকুলের বাসিন্দা বদিউল আলমের ১ম স্ত্রীর মেয়ে হাদিসা (১৫) গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ বুধবার সকাল ৭ ঘটিকায় ঘটনাটি ঘটে। প্রায় ঘন্টাকানেক পর মেয়েটিকে সকাল ৯ টার দিকে হাসপাতালে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মেয়েটিকে মৃত বলে ঘোষনা করে।
নিহতে মা বলেন” ভোরে ছোট ভাইয়ের সাথে কথা-কাটাকাটি করলে আমি হাদিসাকে বকাঝকা করি। পরক্ষণেই, ভাত রান্না করার জন্য আগুন ধরানোর ম্যাচ না থাকায় মাঠে গরু বাধতে যাওয়া স্থানীয় জহর মিয়ার পুত্র সাইফু থেকে ম্যাচ নিয়ে আগুন ধরাতে দিয়ে আমি পাশেই বাপের বাড়িতে চলে আসি। কিছুক্ষণ পর ছোট ছেলে আজিজ আমাকে বাপের বাড়িতে এসে বলল বড় আপা ফাঁসি খেয়ে মারা গেছে। তারপর আমি চিৎকার দিয়ে উঠলে আমার ভাই নুরুল আলম (৩০) দোড়ে গিয়ে হাদিসাকে উদ্ধার করে।”
এদিকে মেয়েটির ফুফাত ভাই প্রতিবেদককে ভাই পরিচয় দিয়ে বলেন” হাদিসা (১৫) ছোট থাকতেই হাদিসার মা মারা গেলে তার বাবা বদিউল আলম তার সাথে অর্থাৎ হাদিসার খালা আনোয়ারাকে ২য় বিবাহ করে। ভোরে বাড়ীতে কি একটা বিষয়ে হাদিসার ২য় মা আনোয়ারা হাদিসা ও তার ছোট ভাই আজিজকে বকাবকি করে। বকাবকির এ পর্যায়ে হাদিসা ও ভাই আজিজের মধ্যে মনোমালিন্য হলে হাদিসা অভিমান করে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করে”।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল হাই জানান, মেয়েটির সুরতহাল প্রতিবেদন ও তদন্তকালে কাউকে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট আছে বলে মনে হয় নাই। মেয়েটিকে ময়না তদন্তের জন্য মহিলা পুলিশ দ্বারা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ময়না তদন্ত শেষে মেয়েটির লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টেও হত্যার কোন চিহ্ন বা বিরোধ কোন তথ্য পাওয়া যায় নাই। মুলত ভাই ও মায়ের সাথে জগড়া করে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।