মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালীর শাপলাপুরের দিনেশপুর ও মুদিরছড়া বিট এলাকা থেকে গত মঙ্গলবার ২৯ ডিসেম্বর বেলা ১২টায় পাহাড় থেকে ডাম্পার ভর্তি মাদার গর্জন কাঠ পাচার কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডাম্পার ভর্তি মাদার গর্জন কাঠ আটক করেছে মহেশখালী বন কর্মকর্তারা।
বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, আটক হওয়া ডাম্পারটি ছোট মহেশখালীর রিয়ান সিকদারের এবং গর্জন গাছ গুলো তার ভাই সোনা মেম্বারের।
অভিযোগ ওঠেছে দিনেশপুরের বিট কর্মকর্তা জুবাইরের সাথে যোগসাজশে ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মোটা টাকা অংকের বিনিময়ে ভূয়া কাগজ সৃজন করে গর্জন গাছ ও ডাম্পারটি ছাড়িয়ে নিতে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগেও পাহাড় খেকো হিসাবে পরিচিত রিয়ান সিকদারে আরেক ছোট ভাই ভূমিদূস্য জাহেদ সিকদারে অবৈধ পাহাড় কাটার সময় ৩টি ডাম্পার আটক করলে একটি ডাম্পার জব্দ করেন মহেশখালীর সহকারী কমিশনার(ভূমি) সুইচিং মং মারমা। এদিকে খোঁজ নিতে গিয়ে শাপলাপুরের দিনেশপুর বিটের এক কর্মচারী ডাম্পারটি ছোট মহেশখালীর রিয়ান সিকদারের বলে জানান। অন্যদিকে তথ্য সংগ্রহ করতে দিনেশপুর বিট অফিসার জুবাইয়ের সাথে দেখা করতে চাইলে সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়ে দেখা করেনি।
এদিকে আটক হওয়ার পর থেকে ডাম্পার ভর্তি গর্জন গাছ ছাড়িয়ে নিতে তদবির করার পর অবশেষে দিনেশপুর বিট অফিসার ও তার উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে বুধবার বিকালে ডাম্পারটি ছেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।
এবিষয়ে কারণ জানতে চাইলে মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার বড়ুয়া জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় ডাম্পারটি দেওয়া হয়েছে তবে জব্দকৃত গর্জন গাছ গুলো দিনেশপুর বিট কার্যালয়ে সামনে আছে। ডাম্পারটি কার জানতে চাইলে সেটা কার জানে না বলে জানান।
এদিকে ছোট মহেশখালী ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ বিন আলীর কাছে জানতে চাইলে ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।