আ ন ম হাসান:
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় তৃতীয় ধাপে মহেশখালী উপজেলায় ৩০টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর উপহার দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ শত টাকা মূল্যের আধা-পাকা এই ঘর উপহার হিসাবে দিতে যাচ্ছেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্মিত প্রকল্পে ৩০টি পরিবার পাবেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর।
আগামী ২৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা যায়, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ঘরগুলোর নকশা ও পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার ফলে ঘরগুলো অধিক টেকসই ও দুর্যোগ সহনীয় হবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরইমধ্যে ঘর নির্মাণ শেষ হয়েছে। ঈদের আগেই গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হলে এবারের ঈদ তাদের জন্য আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
রঙিন টিনশেডের প্রতিটি একক ঘরে ইটের দেওয়াল কংক্রিটের মেঝে এবং টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুটি করে শোবার ঘর, একটি রান্না ঘর, টয়লেট এবং সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে।
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ায় ইউনিয়নে ১৫টি, বড় মহেশখালীতে ৩টি ও ১২টি শাপলাপুর ইউনিয়নে নির্মাণ করা হয়েছে।
মহেশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুল ইসলাম জানান, গৃহহীন মানুষের জন্য প্রকল্প-২ এর আওতাই তৃতীয় ধাপে নির্মিত ঘরগুলো আরও মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইটের ভিত ও কলামের পরিবর্তে এবার ব্যবহার করা হয়েছে আরসিসি ঢালাইয়ের গেট বিম ও কলাম। ঘরের চালা মজবুত করতেও কাঠামো নির্মাণে আনা হয়েছে পরিবর্তন। এতে প্রতিটি ঘর নির্মাণে বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৯০ হাজার টাকা।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইয়াছিন শিমুল বলেন, এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ও একমাত্র প্রকল্প যাতে একসঙ্গে এত পরিবারের জীবনমান উন্নয়ন করা হয়েছে। ভিটেমাটির পাশাপাশি হচ্ছে কর্মসংস্থান। সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে চলে আসছে পিছিয়ে পড়া একটি বড় জনগোষ্ঠী ।তিনি আরো বলেন, মুজিবর্ষে গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদানের ধারাবাহিক কার্যক্রম এ পর্যায়ে মহেশখালী উপজেলায় ৩০টি পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হচ্ছে এটি জেলা প্রশাসনের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ঘর নির্মাণ শেষে উপকারভোগী নির্ধারণ করা হয়েছে।