মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালীতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে প্রত্যায়ন পত্রের নামে দুই’শ টাকা করে ফি আদায়ের অভিযোগ। যার কারণে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অধীনস্থ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষাণাঃ
বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় কোন ধরনের ফি ছাড়াই অটো পাস নিয়ে উপরের ক্লাসে উটে যাবে। পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা প্রত্যায়ন পত্র নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হবে। এই আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মহেশখালী পৌরসভাস্থ চরপাড়া রেড ক্রিসেন্ট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তালিকা ভুক্ত যুদ্ধাপরাধী জামাতা মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক সাধারণ কাগজে লিখা প্রত্যায়ন পত্রের জন্য অ-বৈধভাবে দুই’শ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে। যার প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত।
দেশের এই করোনা কালীন সময়ে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ কিছু আদেশ নির্দেশ প্রদান করেছেন। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি ছাড়া কোনরকম টাকা আদায় করা যাবে না।
কিন্তু সরকারী আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই বিজয়ের মাসে যুদ্ধাপরাধী জামাতা কতৃক সরকারের ও প্রতিষ্ঠানের মানক্ষুন্ন করতে ৫ম শ্রেণী থেকে সদ্য বিদায়ী সকল শিক্ষার্থীর নিকট প্রতিটি প্রত্যায়ন পত্রের জন্য ২০০/- টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে মহেশখালী পৌর এলাকার চরপাড়া রেডক্রিসেন্ট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ।
বিষয়টি নিয়ে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবিভাবকদের সাথে সরজমিনে কথা বললে জানা যায়, বিষয়টা নিয়ে অবিভাবকগণ চরম ক্ষুদ্ধ। সরকারের যে কোন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত তাঁরা।
কিন্তু অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যোদ্ধাপরাধীর জামাতা কতৃক সরকারের মান ও প্রতিষ্ঠানের মানক্ষুন্ন করতে একচ্ছত্র মনোভাব নিয়ে নিজের ব্যাক্তিগত লাভ আর লোভের কারণে আমাদের সন্তানদের কাছ হতে প্রত্যায়ন পত্র বাবদ কেনো ২০০/- টাকা করে অ-বৈদভাবে হাতিয়ে নিচ্ছেন তা এখনো অজানা আমাদের। অনতিবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান ও বিচার চাই।
ইতোপূর্বে তালিকাভূক্ত যুদ্ধাপরাধীর জামাল উদ্দিন প্রকাশ রাইফেল জামালের জামাতা আহম্মদ উল্লাহ বিরুদ্ধে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভূয়া আদেশ তৈরি করে অত্র বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ দখলের অভিযোগ রয়েছে ও বিদ্যালয়ের বিস্কুট চুরির দায়ে শোকজ করা হলে তিনি মহেশখালী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট পরপর দুবার মুচলেকা দেন এবং ভবিষ্যতে এধরনের কাজ আর করবেনা বলে অঙ্গিকারও করেন ৷
নাম না বলার শর্তে এক অভিভাবক জানান, উক্ত বিষয়ে আগামীকাল মহেশখালী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করবে।
উক্ত বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ না পাওয়ার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু নোমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রত্যায়ন পত্রের জন্য এই ধরনের ফি আদায় করা যাবেনা। যদি কোন শিক্ষক এই ধরনের কার্যক্রমে লিপ্ত হয়; তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হইবে বলে তিনি জানান।