আমিনুল হক (মহেশখালী)
মহেশখালীর স্বনামধন্য শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রিয় স্যার মাষ্টার আবদুল গফুর এর ২৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। তিনি ছিলেন এতদঞ্চলের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী গড়ার কারিগর। ১৪ আগস্ট যেদিন তাঁর মৃত্যু হয় সেইদিন তাঁর মৃত্যুর সংবাদ শুনে মহেশখালীর সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। সেইদিন তাঁর সকল শিক্ষার্থীরা অঝোরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মৃত্যুকালে তিনি ৫ জন অবুঝ শিশুকে অনিশ্চয়তায় রেখে যান।
তিনি মহেশখালী উপজেলা সদরের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ মহেশখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৎকালীন শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত প্রিয় একজন শিক্ষক ছিলেন। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। অথচ তাঁর স্মৃতিময় দিন গুলো এখনো ভেসে বেড়ায় সকল শিক্ষার্থীর হৃদয়ে। তাঁর আন্তরিক পাঠদানে অনেক ছাত্র-ছাত্রী আজ দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অধিষ্টিত। তিনি মৃত্যুকালে রেখে গেছেন অসংখ্য গুণগ্রাহী ও ছাত্র-ছাত্রী। পাশাপাশি রেখে যান স্ত্রী, অবুঝ ২ জন ছেলে ও ৩ জন মেয়ে। তাঁর রেখে যাওয়া ২ জন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে হলেন তরুন রাজনীতিবীদ আগামী ছোটমহেশখালী ইউনিয়নের উন্নয়নের কান্ডারী বর্তমান ছোটমহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ছোটমহেশখালী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক ও এভারগ্রীন সমবায় সমিতি লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম. সাইফুল ইসলাম রায়হান।
তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন। মরহুম গফুর স্যারের বড় কন্যা মাহবুবা হুসনে সুরাইয়া খানম ( নিলু) বর্তমানে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। দ্বিতীয় কন্যা নাছিমা সুলতানা খানম (কলি) একজন গৃহিণী, তৃতীয় কন্যা উম্মে ফারজিনা বর্তমানে ছোটমহেশখালী ইউনিয়নে অবস্থিত ইউসুফ নূর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছে। গফুর স্যারের ছোট ছেলে শাহেদুল ইসলাম ( রিশাদ) ঢাকা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ হতে বিএসসি সম্পন্ন করেছে। রিশাদ ঢাকা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব “সারথি” র সভাপতি হিসেব দায়িত্ব পালন করে আসছে। এম. সাইফুল ইসলাম রায়হান বলেন, আমার বাবা ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক। আমরা ভাই-বোনরা কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই বাবা চলে গেলেন পরপারে।
বাবার শূণ্যস্থান কখনও পুরণ হওয়ার নয়। তারপরও বাবার মৃত্যুর পর আমাদের শোকাহত পরিবারের মাঝে বট বৃক্ষের ছায়া হয়ে আসেন আমার Uncle আমেরিকার ফ্লোরিডায় বসবাসকারী মোহাম্মদ ইলিয়াছ খাঁন। তাঁর পরম আদরে সঠিক নির্দেশনায় আমরা ভাই-বোনরা আজ এই অবস্থানে আসতে সক্ষম হয়েছি।Uncle মোহাম্মদ ইলিয়াছ খাঁন না থাকলে আমরা পিতৃহারা সন্তানদের কি অবস্থা হতো জানিনা। রায়হান সকলের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, আল্লাহ যেন আমার বাবাকে জান্নাতবাসী করেন এবং আমাদের ভাই-বোনদের মাঝে সবসময় ভালবাসা বিদ্যমান রাখেন। পাশাপাশি রায়হান তার শ্রদ্ধেয় মায়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে বলেন, মা হচ্ছে একটা পৃথিবী। আমরা পিতৃহারা ভাই-বোনদের লালন পালন করতে কতো কষ্ট করতে হয়েছে এই মাকে। আমার মাকে যেন আল্লাহ দীর্ঘায়ু করেন।