কাইছার হামিদঃ
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে চুরির অপবাদ চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রকে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় ২ জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে বলে জানাগেছে।
গত ২৭ মে (বুধবার) সকাল ১১ টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করে। আটকৃতরা হলেন কালারমারছড়া ইউনিয়নের এমইউপি মোহাম্মদ শরীফ, গ্রাম পুলিশ অাবু তাহের ও মাষ্টার ছালেহ আহমদ।
থানা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার ধারণকৃত ভিডিওটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পুলিশের নজরে পড়লে মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধরের তাৎক্ষনিক নির্দেশে কালারমারছড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ কিশোর বড়ুয়ার নেতৃত্বে গ্রাম পুলিশ আবু তাহের, মোঃ শরীফ মেম্বার ও মাষ্টার ছালেহ আহমদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা নিয়ে যাওয়ায় হয়। সেখানে একেক জন করে জিজ্ঞাসাবাদে এমইউপি মোহাম্মদ শরীফ এবং গ্রাম পুলিশ অাবু তাহের দোষী সাব্যস্ত হয় এবং ১৯/২০ তারিখ ২৮ মে ২০২০ ইং এর মামলা রুজু করে তারা দু’জন কে কারাগারে প্রেরণ করা হয় বলে জানান।ওই শিশুটির উপর যে বাড়ীতে চুরি করার অভিযোগ আনা হয়েছে সেই বাড়ীটির মালিক মাষ্টার ছালেহ আহমদ। তবে ভাইরাল হওয়া ভিড়িও চিত্রে নির্যাতনের ঘটনায় সম্পৃক্তা নাই বলে এমন কথার উদয় হচ্ছে সচেতন মহলের মাঝে। যার দরুন স্ব সম্মানে মুক্তি পেয়ে বাড়ী ফিরেন, জাতি গড়ার কারীগর মাষ্টার ছালেহ আহমদ। তাঁর মুক্তিতে এলাকাবাসী ওসির নিকট ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য ২২ মে ভোরে উপজেলার কালারমারছড়া নয়াপাড়ায় ধলঘাটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছালেহ আহমদের বাড়ীতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, মানুষ গড়ার কারিগরখ্যাত ওই শিক্ষক নির্যাতনের জন্য নই মুলত আইনের কাছে ছাত্রটিকে সোর্পদ করেছিলো। চুরির অপবাদে ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ওসমান গনি (১৩) উপর কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের এমইউপি মোহাম্মদ শরীফের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ আবু তাহের অমানবিক নির্যাতন চালায়।
মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান,
এমন লোমহর্ষক ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে।তদন্ত স্বাপক্ষে অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জামিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সোশ্যাল মিড়িয়া ফেসবুকে দেখছি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।