মিছবাহ উদ্দীন আরজু, (মহেশখালী প্রতিনিধি):
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউপিস্থ ৬নং ওয়ার্ড সোনার পাড়া এলাকার আবদুল হাকিম মার্কেটে আগুন লেগে ৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানিয় সূত্রে জানা যায়, আজ ২৫ এপ্রিল (রবিবার) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বিদ্যুতের সার্কিট শর্ট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এতে ২টি মুদির দোকান,২টি ফার্মেসী, ১টি কুলিং কর্ণার, ১টি ইলেক্ট্রনিক দোকান ও একটি পান সুপারির আড়াৎ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো হলোঃ কালারমারছড়ার সোনার পাড়া ও চিকনী পাড়ার, মামুনুর রশিদ (সওঃ) এর কুলিং কর্ণার, নূর মোহাম্মদ (সওঃ) মুদির দোকান, পল্লী চিকিৎসক মঞ্জুর আলমের ফার্মেসী, আবু ছিদ্দিকের ফার্মেসী, কফিল উদ্দীনের মুদির দোকান, জুয়েলের ইলেক্ট্রনিক্ম দোকান ও জালাল উদ্দীন ও আনসারের সুপারির আড়ৎ। দোকানে মালামালের সাথে টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, মোবাইল ও নগদ টাকা পুড়ে যায়।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ৭০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়। তারা বলেন- যদি ফার্য়ার সার্ভিস কাছে থাকলে অন্তত পক্ষে এতো বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতো না। আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানদার মঞ্জুর আলমের দাবি, মানুষের জমা থাকা নগত অর্থ সহ তার দোকানের প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
স্থানীয় হাঃ আবদুল গফুর জানান, আগুন লাগার খবর পেলে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে কল দিই, বার বার কল দিয়ে রিচিভ না করলে ৯৯৯ তে কল দিয়ে তাদের সাথে কথা বলি। কিন্তু তারা আসার আগেই দোকানগুলো আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্থানীয় এলাকাবাসীরা দাবি করেন- হোয়ানক, শাপলাপুর, কালারমারছড়া, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নের জন্য একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন খুবিই জরুরী। প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কালারমারছড়ার ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শরীফুল ইসলাম আগুনে পুড়ে যাওয়ার বিষয়টা নিশ্চিত করে বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন লাগার খবর পেলে স্থানীয়দের সহয়তায় আগুন নিভানোর চেষ্টা করি কিন্তু ততক্ষণে ৭টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।