মিজবাহ উদ্দীন আরজু: (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী মৌজার আটার জইন্যা ঘোনা সন্ত্রাসের কবল থেকে মুক্ত করতে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেছেন উক্ত ঘোনাটির মালিক পক্ষ।
আজ ২৬ মে (বৃহস্পতিবার) মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে ঘোনাটির মালিক পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করেন বদরুদ্দোজা, মোহাম্মদ কাশেম এবং আব্দুর রউফ।
এনিয়ে মাতারবাড়ীর সর্ব উত্তরের এই আটার জইন্যা ঘোনাটির মালিকপক্ষ থেকে জানায় যে, মাতারবাড়ী মৌজার সরকারি অধিগ্রহণকৃত জমির বাহিরের প্রজেক্টের আটার জইন্যা ঘোনার বানিয়া কাটার (কবরস্থান) সংলগ্ন জায়গার উপর জোরপূর্বক ভাবে প্রতি নিয়ত চাঁদা দাবী করে আসতেছে স্থানীয়- ১। আব্দুর রহমান (৩৮), ২. বদর উদ্দিন (৫০) ৩. আব্বাস উদ্দিন(৫৫), ৪. (৫) মোহাম্মাদ আরমান (৩৫), ৫. কপিল উদ্দিন (৪০), ৬. আনচার(৪৫), ৭. আমান উল্লাহ (৪৭), ৮. আব্দুল মজিদ (৪৫), ৯. সাইফুল ইসলাম (৪০), ১০. রিফাত(৪৮), ১১. মোঃ হানিফ(৩৪), ১২. মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ(৫৩) ১৩. মোঃ করিম (৩৬), ১৪. মোঃ কামাল উদ্দিন (৩৮), ১৫. মোঃ রুস্তম (৩৭), সর্বসাং- সিকদার পাড়া, ১ নং ওয়ার্ড।
তাঁরা আরো জানান, বিগত ১ মাস ধরে আমাদের চিংড়ি প্রজেক্টে জাল বসিয়ে মাছ ধরে নিয়ে আসত তাঁরা। আমরা মালিকপক্ষ চাঁদা না দেওয়ায় উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা আজ সকাল ৮ ঘটিকা হইতে উক্ত সন্ত্রাসীরা তাদের দলবল নিয়ে আমাদের প্রজেক্টের পানি চলাচল ও লবণবাহী নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেয়। আমরা মালিকপক্ষ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের জিজ্ঞেস করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকে এবং তারা আমাদের কে লাঠি ও ধারালো চুরি, লোহার রট নিয়ে আমাদের উপর হামলা করতে চাইলে। তখন আমরা মালিকপক্ষ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসি। এবং আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। সন্ত্রাসীগণ আমাদের উদ্দেশ্যে করে বলে, তাদের চাঁদা না দিলে আমাদেরকে উক্ত চিংড়ি প্রজেক্ট করতে দিবে না বলেও হুমকি প্রদান করে।
তাই আমরা নিজেদের এবং নিজের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করি।
এ বিষয়ে মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাখাওয়াত দ্বীপ নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানায়, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটির পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমরা আজ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাই, কিন্ত আমরা যেতে যেতে উক্ত আটার জইন্যা ঘোনায় অভিযুক্ত কাউকে পায়নি। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উক্ত বিষয়টি নিয়ে মাতারবাড়ী আটার জইন্যা ঘোনার মালিকপক্ষ উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করে উক্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন মহেশখালী থানায় অফিসার ইনচার্জের প্রতি।