ফিচার নিউজ:
করোনার প্রভাব দরিদ্র মানুষ গুলোকে আরো দরিদ্র করেছে। অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে খাবার যোগাড় দুঃসহ হয়ে পড়েছে তাদের জীবন। গত বছর থেকে করোনার ঢেউ মোকাবেলায় যা সঞ্চয় ছিল, তাও শেষ হয়েছে অনেকের। মানুষের এই অর্থনৈতিক সংকটময় জীবনে পাশে দাড়ানোর লোক দিন দিন কমে যাচ্ছে। নানান সীমাবদ্ধতার মাঝেও হাতেগুনা অনেকেই অসহায় মানুষের দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তাদের একজন কক্সবাজার সমুদ্র পল্লীতে বেড়ে উঠা যুবক কাইছার মাহমুদ জয়। গত শীত মৌসুমে কক্সবাজার শহরের অলিগলি, রাস্তার ধারে রাত্রিযাপন করা মানুষ গুলোর পাশে গিয়েছিলেন শীতবস্ত্র বিতরণ করতে৷ সাধ্যমত অসংখ্য অসহায় মানুষের হাতে তুলে দিয়েছিলেন শীতবস্ত্র, ওষুধ কেনার টাকা, খাবার ইত্যাদি।
এই রমজানেও তার মানবিক কাজ চলমান রয়েছে। সারাদিন রোযা রেখে করছেন ইফতার তৈরীর কাজ৷ আবার সেই ইফতার নিয়ে বিকেলে ছুটে চলছে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায়। অসহায় মানুষদের খুঁজে তাদের হাতে তুলে দেন ইফতারের জন্য খাবারের বক্সটি। এই কাজ করার জন্য জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে তাদের একটি টীম রয়েছে। তাদের লক্ষ্য পুরো রমজান জুড়ে খাবার বিতরণ চলমান রাখবে। সেই টীমেরই একজন কাইছার মাহমুদ জয়।
তার সাথে কথা বললে সে জানান, মূলত “মানুষ মানুষের জন্যে” এই কথাটির বাস্তবরূপ দিতেই সাধ্যমত মানুষের পাশে দাড়াচ্ছেন। দুনিয়াতে প্রত্যেক মানুষের অপর মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। এই দায়বদ্ধতা পূরণের জন্য গরীব, অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের তরে নিজেকে সমর্পন করতে হবে। স্বস্ব অবস্থান থেকে প্রত্যেককেই কাজ করতে হবে সমাজ পরিবর্তনে। এসময় মানুষকে মানুষের পাশে দাড়ানোর অনুরোধ জানান।