এম হোবাইব সজীব(মহেশখালী)
কক্সবাজারের মহেশখালী-কুতুবদিয়া এলাকার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ৪৩ জন জলদস্যুকে নগদ পাচঁ হাজার টাকা ও ঈদের উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে র্যাব-৭ এর পক্ষ থেকে।আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুরের সময় মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের কাছে নগদ অর্থ ও ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর দক্ষিণ চট্টগ্রামে প্রথম মহেশখালী, কুতুবদিয়ায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সংবাদকর্মী আকরাম হোসাইনের মধ্যস্ততায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল,র্যাবের ডিজিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ৫ টি বাহিনীর ৩৭ জনসহ মোট ৪৩ জন জলদস্যু অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল।তারা ২০১৯ সালের ৯ মে জামিনে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করলেও করোনা কালীন সময়ে কর্মসংস্থান হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করায় প্রশাসন তাদেরকে এ সহযোগিতা দিচ্ছে বলে জলদস্যুদের মধ্যস্থকারী সাংবাদিক আকরাম হোসাইন জাগরণ বাংলাকে জানিয়েছেন।
করোনাতে কর্মসংস্থান হারিয়ে কষ্টে জীবন যাপন করলে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে র্যাবের আর্থিক সহায়তা স্বস্তি ফিরেছে আত্নসমর্পণকারী জলদস্যুদের কাছে।কুতুবদিয়ার জলদস্যু বাহিনীর প্রধান রমিজ জাগরণ বাংলাকে বলেন, “আমি এখন স্বাভাবিক জীবন যাপন করছি। এ সহযোগিতা পেয়ে আমি করোনাকালে উপকৃত হয়েছি। মহেশখালীর কালারমারছড়া সাবেক জলদস্যু নুরুল আলম প্রকাশ কালাবদা বলেন, “আমি নিজের ভূল বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছি।কিন্ত করোনাতে কর্ম হারিয়ে কষ্টে দিন কাটছিলো। প্রশাসনের নগদ অর্থ ও ঈদ সামগ্রী সহযোগিতা পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবে ঈদ করতে পারবে।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মশিউর রহমানে জুয়েলের নেতৃত্ব নগদ টাকা ও ঈদ সামগ্রী প্রদান করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।জলদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে আত্মসমর্পণের মধ্যস্ততাকারী সাংবাদিক আকরাম হোসাইন। মহেশখালী থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌসসহ প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তা, স্থানীয় চেয়ারম্যান তারেক শরীফ প্রমূখ।