দ্বীপ নিউজ ডেস্ক:
আগামী ১১ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশের ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদ, ১১ পৌরসভার নির্বাচন এবং ১ টি সংসদীয় আসনের উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন গত ৩ মার্চ।
ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ এসব নির্বাচনের জন্য ৫ মার্চ থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণ করছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা আহ্বান করেছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে দুই বোর্ডের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন হোয়ানক। গত ৩রা মার্চ ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী হোয়ানক ইউনিয়নের নির্বাচনও আগামী ১১ এপ্রিল। চেয়ারম্যান পদে দৌড়ঝাঁপও বেড়েছে অসংখ্য প্রার্থীর।
ইতিমধ্যে হোয়ানক থেকে চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় নমিনেশনের জন্যে দলীয় কার্যালয় থেকে নমিনেশন ফরম সংগ্রহ করে জমাদেয় ৫/৬ জনের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থী।
আজ ১৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের ডাকা সভায় দলীয় নমিনেশন ঘোষণার সম্ভাবনা প্রকট বলে জানা যায় একাধিক সূত্রে।
হোয়ানক ইউনিয়নে দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রবীণ আওয়ামী লীগ, তৃণমূলের সকল নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ। কে পাচ্ছে দলীয় প্রতীক? এমন প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে সর্বত্রে।
একাধিক সূত্রে জানতে পারি, হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতিক পাওয়া ক্ষেত্রে আলোচনায় ওঠে আসছে ২/৩ টি নাম। তাঁর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে মহেশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ওয়াজেদ আলী মুরাদ ও হোয়ানক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর কাশেম চৌধুরীর।
স্থানীয় এই দুই দলীয় নমিনেশন প্রত্যাশীর সমর্থক গোষ্ঠী সহ তাঁদের কর্মীদের মাঝেও নানান চিন্তা বিরাজমান। ইউনিয়নের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সহ যুবক সমাজের অধিকাংশ সাপোর্ট ওয়াজেদ আলী মুরাদের প্রতি রয়েছে বলে জানাযায়। এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসাবে মীর কাশেম চৌধুরীর ও উল্লেখযোগ্য দলীয় সমর্থন।
সূত্রে জানা যায়, আসন্ন হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় নমিনেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে এই দুই নেতার অবস্থান সবার চেয়ে এগিয়ে সমান্তরাল বলে জানতে পারি।
নানা পেশা ও বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ নানা জল্পনা কল্পনা নিয়ে বসে আছে আজ শনিবারের নমিনেশন বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।