এ.কে রিফাত: (মহেশখালী)
মহেশখালী পৌরসভার অন্তর্গত ০৫ নং ওয়ার্ড এর দক্ষিন ঘোনাপাড়া এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহম্মদের ছেলে মোজাম্মেল বহদ্দারের মালিকানাধীন (এফ-বি ভাই ভাই ৩) নামক মাছ ধরার ট্রলারটি ১৬ জন মাঝিমাল্লা সহ গতকাল ভোর আনুমানিক ৪ টা থেকে কক্সবাজারের নাজিরারটেক সমুদ্র পয়েন্ট থেকে হঠাৎ নিখোজ হয়ে যায়।
এখনো পর্যন্ত ওই মাছ ধরার ট্রলারটি কোন খোজখবর পাওয়া যায়নি।
ট্রলারটির মালিক মোজাম্মেল বহদ্দারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, গত ১২ দিন আগে তার মালিকানাধীন (এফবি-ভাই ভাই ২ এবং এফবি-ভাই ভাই ৩) দুইটি মাছ ধরার ট্রলার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উদ্যোশ্যে বের হয়।
তিনি আরও জানান, গতকাল ৩০ জানুয়ারি সোমবার রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে মাছ নিয়ে ট্রলার দুইটি কক্সবাজার নাজিরার টেক সমুদ্র পয়েন্টে মাছ নামিয়ে দিতে আসে।
পরক্ষনে ওই ট্রলার দুইটিতে থাকা মাছ ধরার মাঝি মাল্লারা মোজাম্মেল বহদ্দারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ভোরে কক্সবাজার নাজিরার টেক সমুদ্রে পয়েন্টে যাবেন এবং মাছগুলো বিক্রি করার জন্য ফিশারী ঘাটে নেবেন এই মর্মে মোটোফোনে আলাপ শেষ হয় তাদের মধ্যে।
একই দিন ভোর আনুমানিক চার ঘটিকার সময় ওই ট্রলার দুইটির মালিক মোজাম্মেল বহদ্দার কক্সবাজারের উদ্যোশ্যে রওয়ানা দেওয়ার সময় দুইটি ট্রলারে থাকা মাঝিমাল্লাদের সাথে মোটোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে (এফবি-ভাই ভাই ২) এর সাথে কথা হয় এবং (এফবি-ভাই ভাই ৩) এ থাকা মাঝিমাল্লাদের মোটোফোনে আর কোনভাবেই সংযোগ পাওয়া যায়নি। নিখোজ হওয়া ট্রলারে আনুমানিক পাঁচ লক্ষ টাকার ইলিশ মাছও ছিল বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত একমাস থেকে গভীর সমুদ্র সহ উপকুলের আশপাশে পেশাদার জলদস্যুদের মহড়া ক্রমান্নয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিভিন্ন সমুদ্র পয়েন্টে ট্রলার ডাকাতির ঘঠনা হয়েছে।
সচেতন মহলের অভিমত; মোজাম্মেলে বহদ্দারের মালিকানাধীন ট্রলারটিও চিহ্নিত জলদস্যুদের দ্বারা ডাকাতি হয়েছে বলে আশংকা করেছেন।
মাঝিমাল্লা সমিতির নেতৃবৃন্দরা জানান, এমতাবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমুদ্রে মাঝিমাল্লা সহ মাছ ধরার ট্রলারের নিরাপত্তা নিশ্বিত সহ চিহ্নিত জলদস্যুদের আইনের আওতায় না আনলে এই মৎসজীবীদের মহান এই পেশা ক্রমান্নয়ে লোপ পাবে।
কোন ব্যাক্তি যদি এই মাছ ধরার ট্রলারটির সন্ধান পেয়ে থাকেন তবে নিম্মোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরুধ করেছেন ট্রলারটির মালিক মোজাম্মেল বহদ্দার।
(০১৮৩৮-৬৩০৩৩১)
(০১৮২৩-৯১০৭২৮)