এ.কে রিফাত: (মহেশখালী)
মহেশখালীতে কলেজ ছাত্র আরফাত হত্যা মামলার দুই আসামীকে পুলিশের বিশেষ প্রযুক্তি ব্যাবহার করে সুদুর রামু থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশের একটি টীম।
৩০ অক্টোবর (শুক্রবার) মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনব চৌধুরীর নির্দেশে ভোর আনুমানিক ৫ টার দিকে রামু উপজেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কলেজ ছাত্র আরাফাত হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামী মো. শাহ আলম ও মো. তৌহিদুল আলম।
গত ২৫ অক্টোবর (রবিবার) রাত ৯টার দিকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী স্থানীয় কলেজ এলাকায় কলেজ ছাত্র আরফাতকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয় সালাম মিয়া প্রকাশ সালাইম্মে ড্রাইভারের নেতৃত্বে একদল হামলাকারী তার উপর হামলা করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য আরফাতকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়। চট্টগ্রাম ট্রিটিমেন্ট হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন।
আসামীদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি প্রণব চৌধুরী জানান,কলেজ ছাত্র আরফাত খুন হওয়ার পর ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধিদের আইনের আওয়তায় আনতে মহেশখালী থানা পুলিশের উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে বহুমুখী কাজ শুরু করে। তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে চালানো হয় অভিযান চালিয়ে খুনের ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রাখেন। হত্যা মামলার একাধিক আসামি সুদূর রামু এলাকায় গিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে মর্মে নিশ্চিত হয়ে পুলিশ দ্রুত রামু এলাকায় পৌঁছে মামলার এ দুই আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন বলে জানান।
তিনি আরও জানান, আটক আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে অপরাপর আসামীদের গন্তব্যস্থলে পৌছানো সহ অধিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদনও করা হবে বলে জানান ওসি।
এবিষয়ে মহেশখালী থানা সূত্রে জানা যায়, মহেশখালী থানা থেকে পুলিশের একটি ইউনিট রামু উপজেলার গর্জনীয়া -কচ্ছপীয়া এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে আরফাত হত্যা মামলার এ আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। গ্রেফতার হওয়া মো. শাহ আলম মামলার ৪ নম্বর আসামি ও মো. তৌহিদুল আলম ৮ নম্বর আসামি। গ্রেফতারের পর তাদেরকে মহেশখালী থানার আনা হচ্ছে বলেও জানান