প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কুতুবজোম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মহেশখালীর ঐতিহ্যবাহী মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই স্কুলের অনেক সুনামও রয়েছে। অত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্টান ও বিদায় অনুষ্ঠানে মাননীয় এমপি মহোদয়ের পক্ষ থেকে বাই-সাইকেল উপহারের বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রবাহিত করেছে একটি চিহ্নিত কুচক্রী মহল।
বলাবাহুল্য যে, মহেশখালীতে অনুষ্ঠিত প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিদায় অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে মাননীয় এমপি আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিকের পক্ষ থেকে ৭ম থেকে দশম শ্রেনীর রোল নাম্বার এক(ক্যাপ্টেন) দের একটি করে বাই-সাইকেল উপহার দেন।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ মার্চ (বৃহষ্পতিবার) কুতুবজোম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও এস এস সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের দিন অত্র বিদ্যালয়ের ৭ম থেকে দশম শ্রেনীর রোল নাম্বার এক(ক্যাপ্টেনদের) একটি করে বাই-সাইকেল উপহার তাদের হাতে তোলে দেন মাননীয় এমপি মহোদয়।
তখন মাইকে এনাউন্স করার মুহূর্তে ভুক্তভোগী মেয়েটি উপস্থিত ছিলনা। যার কারনে মেয়েটির পক্ষ থেকে অত্র বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক তার উপহারের সাইকেলটি গ্রহন করে অফিস কক্ষে রেখে দেন বলে জানা যায়।
অনুষ্ঠানের পরের দিন পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়াতে সকলেই পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যদ্রব্য ক্রয়ের লক্ষে দ্রুত অনুষ্ঠানের সবরকম কার্যক্রম সমাপ্ত করেন।
তারপরের দিন শুক্রবার ও শনিবার স্কুল সরকারিভাবে বন্ধ থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়েটির সাইকেলটি আগামী রবিবার তার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তোলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক অতি দুঃখের সাথে জানান, একটি কুচক্রীমহল অত্র স্কুলের মেধাবী ও দরিদ্র ছাত্রীটাকে নিয়ে সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মী ভাইদের ভুল বুঝিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে মেয়েটিকে সাইকেলটি উদ্যেশ্যপ্রনোদিতভাবে দেওয়া হয়নি মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ায়।যাতে করে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।
বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আসার সাথে সাথেই মেয়েটির সাথে যোগাযোগ করে আগামীকালকেই মেয়েটিকে অফিসে এসে নিয়ে যেতে বলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো গুজবে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য মহেশখালীবাসীকে সবিনয় অনুরুধ জানান, স্কুল পরিচালনা পরিষদের সম্মানিত সভাপতি ও সকল সদস্যবৃন্দ এবং উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সহ সকল শিক্ষকবৃন্দ।