1. dwipnews24.info@gmail.com : Dwip News 24 :
  2. editor@dwipnews24.com : Newsroom :
কুতুবদিয়া দ্বীপে সাবমেরিন ক্যাবলে বিদ্যুতায়নের টেন্ডার | দ্বীপ নিউজ
April 20, 2024, 7:26 am
শিরোনাম :
মাতারবাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আধাঁরে হামলা ও লুটপাট, আহত একাধিক মাতারবাড়িতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবী হত্যা মহাকাশ গবেষণায় মহেশখালীর ১১ শিশু-কিশোরের সফলতা মাতারবাড়ি প্রকল্পের ভিতরে সাংবাদিক রকিয়তকে আটকে রেখে মারধর ও হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন মাতারবাড়ীতে সাংবাদিকদের হাত-পা কেটে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান রাজাকে বিভিন্ন মহলে অভিনন্দন কক্সবাজার জেলা থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে জয়িতা সম্মাননা পেলেন শাহরিন জাহান মহেশখালীতে ভুমিহীন ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জীবন জীবিকার সুরক্ষার তাগিদে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কক্সবাজার-২ থেকে ইসলামী ঐক্যজোটের মনোনয়ন পাচ্ছেন সাংবাদিক নেতা মাওলানা ইউনুস মহেশখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় নিহত ১, নগদ টাকাসহ ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ 

কুতুবদিয়া দ্বীপে সাবমেরিন ক্যাবলে বিদ্যুতায়নের টেন্ডার

  • আপডেটের সময় : সোমবার, জুন ২২, ২০২০
  • 1557 ভিউ

অনলাইন ডেস্ক:

সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের মাধ্যমে কুতুবদিয়া উপজেলায় বিদ্যুতের জাতীয় গ্রীড লাইন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহবান করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ২১ জুন (রবিবার) জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় কুতুবদিয়া সাব মেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগের টেন্ডার আহ্বানের চুড়ান্ত পক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান। ফলে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সংযুক্ত হচ্ছে কুতুবদিয়াবাসী।

গত বছর এপ্রিলে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মহেশখালী-কুতুবদিয়া (কক্সবাজার-২) আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক এর এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যেই সাব-মেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুতুবদিয়ায় জাতীয় গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। তখন তিনি বলেন, মহেশখালীর মাতারবাড়ি পাওয়ার হাব হিসাবে একাধিক প্রকল্প গড়ে উঠছে এর পার্শ্ববর্তী এলাকা হিসাবে দ্বীপ এলাকা কুতুবদিয়ায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সুবিধার থেকে বঞ্চিত কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া দ্বীপ। মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন, প্রায় দেড়লাখ জনসংখ্যা ২১৫ বর্গমাইল আয়তনের এ উপজেলায় জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ যাবে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে। এজন্য ৮০ কোটি টাকার প্রকল্প পাশ হয়েছে গতবছরের জুন মাসে । চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারিতে পিছিয়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রাচীন এই জনপদের মানুষ পুরোপুরি বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে।

কুতুবদিয়া–মহেশখালীর সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক জানান, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ স্হাপনে পিডি নিয়োগ, সার্ভে করাসহ প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন। চলতি বছরে কাজ শুরু হওয়ার কথা কিন্তু করোনা ভাইরাস জনিত কারণে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ে। পরিস্হিতি স্বাভাবিক হলে আগামী বছর নাগাদ কাজ সম্পন্ন হতে পারে বলে আশান্বিত তিনি।

কুতুবদিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ স্হাপনের কাজ শেষ, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এতোদিনে দ্বীপবাসী বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়ে যেতো। করোনা মহামারির অবস্থা ভালো হলেই কাজ শুরু হবে বলে ও জানান তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে দ্বীপবাসী সোলার বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছে। এক যুগ আগে বায়ু বিদ্যুৎ প্যানেল স্হাপিত হয় এই দ্বীপ উপজেলায়।

বিদ্যুৎ সংযোগ, ফেরি সার্ভিস চালু ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের বলে জানান কুতুবদিয়া উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত হলে এখানে শিল্পায়নের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এলে লবণ পরিশোধন শিল্প, মৎস্য-চিংড়ি ও শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, গভীর সমুদ্রগামী জাহাজ নির্মাণ শিল্প, শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড ও বরফ কলসহ আরও বিভিন্ন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও পর্যটন শিল্প বিকাশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে এখানে। কুতুবদিয়া দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে বিস্তৃত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে সমুদ্রসৈকত ও ঝাউবন।

বিদ্যুৎ সুবিধা পেলে এখানে আধুনিক হোটেল, মোটেল, কটেজ ও পর্যটন উপযোগী অন্যান্য স্থাপনা গড়ে উঠবে। এর ফলে অবহেলিত দ্বীপবাসীর জীবনযাত্রার সার্বিক মানোন্নয়ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, কুতুবদিয়া উপজেলায় বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে আট মেগাওয়াট।
বর্তমানে দুই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অল্পসংখ্যক মানুষ উপকৃত হলেও অধিকাংশ মানুষ এখনো বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

বর্তমানে এই দ্বীপের বসতি ৫’শ বছর পেরিয়ে গেছে। এই দ্বীপের আয়তনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। এখনো সাগরের ঢেউয়ের প্রভাবে ভেঙে সমুদ্রের সাথে মিশে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

জানা যায়, পিডিবি বিতরণ চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চলের গৃহীত ২৬০০ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের মধ্যে কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রকল্পটিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।। এ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ২০৩০ সাল নাগাদ ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা মিটানো সম্ভব হবে।

চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প-২’ নামে এই মেগা প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বিতরণ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ২৫টি নতুন সাবস্টেশন নির্মাণ, ১৫টি সাবস্টেশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি, ৮০০ কিলোমিটার ১১ কেভি বিদু্যৎ লাইন স্থাপন এবং সাড়ে ৫ হাজার উন্নতমানের ট্রান্সফরমার বসানো হবে। এছাড়া ৪৯৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার ৩৩ কেভিএক্সএলপিই, ৩০ কিলোমিটার ৩৩ কেভি এক্সএলপিই এবং ৩১ কিলোমিটার ১১ কেভি এক্সএলপিই আন্ডারগ্রাউন্ড কপার ক্যাবল স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ২০২২ সাল থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে কোনো ধরনের বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লোডশেডিং থাকবে না। ২০২২ সালের জুনে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট লোড কাভার হবে। এখন চট্টগ্রামের চাহিদা ১৩০০ মেগাওয়াট হলেও ২০৩৫ সালে চাহিদা দাঁড়াবে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট। ওই সময়ের লোড ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগীভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে।

উল্লেখ্য গত ১৩মে সিটিএন ‘র সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরে আসে। সূত্র: দৈনিক কক্সবাজার

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত © 2022 dwipnews24.net
Desing & Developed BY ThemeNeed.com
error: Content is protected !!