সম্পাদকীয়:
কেউ চেয়ারে বসে সম্মানিত বোধ করে আবার কেউ বসার চেয়ার ছেড়ে দিয়ে অন্যকে বসতে দিয়ে সম্মানিত বোধ করে শ্রদ্ধা আর ভালবাসার দৃষ্টান্ত দেখালনে মাতারবাড়ী চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ ও আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম ছমি উদ্দিন!
কেউ চেয়ারে বসে সম্মানিত বোধ করে, কেউ চেয়ার ছেড়ে দিয়ে অন্যকে বসিয়ে সম্মানিত বোধ করে বলছিলাম আজ মাতারবাড়ীতে মহেশখালীর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের জন্য এল.এ অফিস থেকে চেক বিতরণ করতে এমপি ও ডিসি আসলেন মাতারবাড়ীতে! যথা সময়ে অনুষ্ঠানে শুরু হল! অনুষ্ঠানে অতিথিরা যে যার চেয়ারে বসে আছে। অনুষ্ঠান চলাকালে হঠাৎ করে মাতারবাড়ী এক নেতা অনুষ্ঠানে আসলেন। বিভিন্ন দিকে সামনের সারিতে বসার জন্য চেয়ার আছে কিনা খুজতে থাকেন কিছুক্ষণ। কিন্তু বসার চেয়ার দেখতে না পেয়ে একটু নার্ভাস ফিল করেন, ঠিক তখনি চোখ পড়ে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মাদ উল্লাহর। তখন তিনি এডিসি(রাজস্ব) এর পাশে বসে থাকা চেয়ার থেকে উঠে ঐ নেতাকে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন।তখন তিনি এসেই সুর সুর করে ঐ চেয়ারে বসে নিজেকে সম্মানিত বোধ করলেন। আর অন্যদিকে চেয়ার ছেড়ে দিয়ে বসিয়ে তৃপ্তি পেলেন চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ। আর ঘটনা পুরো উপলব্ধি করতে থাকেন মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম ছমি উদ্দীন। চেয়ার যখন ছেড়ে দিয়ে দাড়িয়ে থাকেন চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মাদ উল্লাহ, ঠিক তখনি নিজের চেয়ার থেকে উঠে চেয়ারম্যানকে বসতে দিয়ে ওঠে পড়লেন জিএম ছমি উদ্দিন।
এই হল সম্মান শ্রদ্ধা আর ভালবাসা। এ বিষয়ে একান্ত আলাপ কালে জিএম ছমি উদ্দিন বলেন আমি চেয়ার ছেড়ে দিয়ে আমার কোন মান-সম্মানের ক্ষতি হয়নি বরং আমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সম্মানিত করতে পেরেই আমি সম্মানিত! এই হল পরস্পর সম্মান শ্রদ্ধা আর ভালবাসা….স্যালুট আপনাদের সম্মান শ্রদ্ধা আর ভালবাসাকে! এই থেকে তরুন পজন্মের রাজনীতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি সকলের শিক্ষা গ্রহন করা উচিত….
লেখক
রকিয়ত উল্লাহ
মহেশখালী প্রতিনিধি
দৈনিক বাঁকখালী ও সকালের সময়