অনলাইন ডেস্ক:
মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর ১৮ চেয়ারম্যানের স্মারকলিপি।
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া হারবাং ইউনিয়নে মা-মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কথা শোনা গেলেও প্রশাসনের করা তদন্ত টিম সত্য অনুসন্ধানে অনেকদুর এগিয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।
আজ ২৬ আগষ্ট দুপুরে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এবং গরু চুরির আলোচিত ঘটনায় হারবাং এর চেয়ারম্যান সম্পূর্ণ নির্দোষ হওয়ার পরেও তাকে জড়িত করার প্রতিবাদে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সে সময় সংঘটিত ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ ও তাঁর নেতৃত্বে একটি টীম ঘটনাস্থল হারবাং পহরচাঁদা ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শন করেছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা সে সময় জানায়, চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান ওই দিন দুপুরে ঘটনাস্থলে না থাকলেও দ্বিতীয় পর্যায়ে পরিষদে নিয়ে গিয়ে মা-মেয়েসহ ৫ জনকেই গরু চুরির অভিযোগ তুলে মারধর করেছেন।
আরো জানা যায়, চুরি হওয়া গরুর মালিক উত্তর হারবাং বিন্দারবানখীল এলাকার নজরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন ও নাছির উদ্দিন মা-মেয়েকে রশিতে বেঁধেছেন। যার কারণ দেখিয়েছিলো এরা গরু চুরির সাথে সরাসরি জড়িত। পরে উপজেলার পহরচাঁদা এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহমুদুল হক বাদী হয়ে ওই নির্যাতিত ৫ জনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় গরু চুরি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় থানা পুলিশ আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠান।
আলোচিত এই ঘটনার খবর পেয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে চকরিয়া ইউএনও দ্রুত সময়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এবং স্বশরীরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সঠিক তথ্য জানতে সাধারণ মানুষের সাথে একাধিকবার কথা বলেন।