মহেশখালী প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের মহেশখালীতে স্কুল কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়ে সদ্য এসএসসি পাশ করা এক শিক্ষার্থীর কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ঐ শিক্ষার্থীর নাম মেহনাজ সোলাতানা রেশমা। সে মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে এবারে এসএসসি পাশ করে।
ঐ শিক্ষার্থীর বড় ভাই কাইছারুল ইসলাম জানান, তিনি পেশায় একজন সংবাদকর্মী। ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক খোলা কাগজ ও কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক রুপালী সৈকতের মহেশখালী প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি গত ২১ ফেব্রুয়ারী “মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশংসাপত্র ফি বাবদ ৬’শ টাকা আদায় করা হচ্ছে” বিষয়টি উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে হয়রাণী করছে। তিনি আরো জানান, ২২ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১টায় তার ছোট বোনের প্রশংসাপত্র নিতে মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে যান এবং সেসময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক অফিসে ছিলেন। অফিস সহকারী অমল কান্তি দের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সহকারী শিক্ষক দিদারুল ইসলাম রুবেলের সাথে দেখা করতে বলেন। তখন দিদারুল ইসলাম রুবেল তাকে প্রশংসাপত্র শেষ হয়ে গেছে এবং আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারী যোগাযোগ করতে বলেন। এ ফাঁকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অফিস থেকে বের হয়ে যান।
এই বিষয়ে মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী অমল কান্তি দে বলেন, আমি প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ পালণ করি। তিনি বলেছেন প্রশংসাপত্র শেষ হয়ে গেছে। তাই ঐ শিক্ষার্থীকে প্রশংসাপত্র দেয়া হয়নি।
সহকারী শিক্ষক দিদারুল ইসলাম রুবেল জানান, ঐ শিক্ষার্থী যখন অফিসে আসেন তখন প্রধান শিক্ষক ঢাকা যাওয়ার জন্য বের হচ্ছেন। তাই তিনি প্রশংসাপত্রে দস্তখত দিতে পারেননি। ২৪ ফেব্রুয়ারী তিনি ঢাকা থেকে ফিরলে প্রশংসাপত্র দিবেন। ২৪ ফেব্রুয়ারী কলেজে ভর্তি নিশ্চয়ণের শেষ তারিখ, প্রশংসাপত্র না দিলে ঐ শিক্ষার্থী কিভাবে কলেজে ভর্তি হবে সেই বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলতে বলে ফোন রেখে দেন।
এদিকে মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজা খানকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হয়। তিনি ফোন না ধরায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ফজলুল করিম জানান, স্কুলে প্রশংসাপত্র শেষ হওয়ার বিষয়টি সন্দেজনক। এসএসসি পাশ করা সকল শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলক প্রশংসাপত্র দিতে হবে। তিনি এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ভাই কাইছারুল ইসলাম।
এদিকে রিপোর্টার্স ইউনিটি মহেশখালী শাখার সভাপতি এসএম রুবেল জানান, সাংবাদিকদের কাজ অসঙ্গতি তুলে ধরা। সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্কুল কর্তৃপক্ষ সংবাদকর্মীর বোনকে প্রশংসাপত্র না দিলে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ কিভাবে পাবে।