ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান খান, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন আজ ধানমন্ডীর ৩২ নম্বর সড়কে বাঙালির স্বাধীন জাতিসত্তা নির্মাণের স্মৃতিময় স্বাক্ষী ৩২ নং ধানমন্ডীর বঙ্গবন্ধু ভবনে যান। তিনি সেখানে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্য ১৫ আগস্ট ট্রাজেডিতে শহীদদের রুহের মাগফেরাতও কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও প্রধানতম বন্দর নগরী চট্টগ্রামের প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা রেখেছেন তার প্রতিদান দিতে তার সকল সামর্থ শতভাগ উজাড় করে দিবেন।
তিনি বলেন, রাজনীতির সহায়ক প্রতিপাদ্য পরিপূরক ব্রত হলো জনসেবা। এই ব্রত পালনে স্বচ্ছতা, সততা ও নিষ্ঠাই তার চালিকা শক্তি এবং চট্টগ্রামকে একটি বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা কার্যক্রমগুলোর পরিধি বাড়াবেন। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সরকার আইনানুযায়ী প্রশাসক হিসেবে বেঁধে দেওয়া ১৮০ দিনের প্রতিদিনই নগরীর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিক সমাধানে চসিকের মোট জনবলকে মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় রাখবেন। সর্বোপরি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাগত শৃংখলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সামগ্রগ্রিক কর্মকান্ডের গতি বাড়িয়ে কাজের সুফল নগরবাসীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে তিনি সচেষ্ট হবেন।
তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাইড লাইন তার শক্তি ও প্রেরণার সূত্র। তার পূর্বসূরী সাবেক মেয়রদের সকল ভালো কাজগুলোকে দৃষ্টান্ত হিসেবে ধারণ করে আরো ভালো কাজে উদ্যোগেী হতে সচেষ্ট থাকবেন নতুন প্রশাসক।
এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ.কে.এম রেজাউল করিম, মেমন হাসপাতালের পরিচালক ডা. আশীষ মুখার্জী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, বস্তি ও বন কর্মকর্তা মইনুল হোসেন আলী চৌধুরী (জয়), নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) আবু সাদাত মো. তৈয়ব, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, রাজনীতিক সালাউদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, মহানগর যুবলীগ যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুল হক সুমন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও তিনি আজ ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির(ডিআরইউ) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম জার্নালিষ্ট ফোরামের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বলেন, তিনি চসিকের যাদেরকে নিয়ে মাঠে থাকবেন তাদের তিল পরিমান বিচ্যুতি, অনিয়ম বা নয়-ছয় করার প্রবণতাকে বরাদস্ত করবেন না। যারা যোগ্য, দক্ষ ও আন্তরিক তাদেরকে বুকে টেনে নিবেন। গণমাধ্যমসহ সকলের সহযোগিতায় সরকার সিটি কর্পোরেশন সহ সকল সেবা সংস্থার ভাবমূর্তীকে উজ্জ্বল করতে প্রত্যয়ী বলে তিনি উল্লেখ করেন। জনাব সুজন আরো বলেন, চট্টগ্রামের সন্তান যারা ঢাকায় সাংবাদিকতা করছেন তাঁরা আমাদের দূত। তাদের ইতিবাচক সমালোচনা পরামর্শ তিনি অবশ্যই আমলে নিবেন।
মতবিনিময় সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, চট্টগ্রাম জার্নালিষ্ট ফোরামের সভাপতি সাহেদ ছিদ্দীকি, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ নোমান, সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফরাত, ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শাহীনুল ইসলাম চৌধুরী, দীপ্ত টেলিভিশনের হেড অব দ্য নিউজ ইব্রাহীম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।