অনলাইন ডেস্ক:
– আবহাওয়ার খোঁজখবর রাখুন, অতিবৃষ্টির আগাম খবর পেলে সময় থাকতেই নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন।
– সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থা, যেমন: ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন, হাসপাতাল, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা ইউনিয়ন পরিষদ ইত্যাদি ফোন নম্বর সংগ্রহ করে হাতের কাছে রাখুন।
– নিজে নিরাপদ স্থানে থাকুন এবং অন্যকে নিরাপদ স্থানে পৌছাতে সহায়তা করুন। শিশু, কিশোরী, বৃদ্ধ, গর্ভবতী মা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ রাখুন এবং আশ্রয়কেন্দ্রে তাদের বিশেষ যত্ন নিন।
– নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় মূল্যবান দলিলপত্র, টাকা-পয়সা, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রভৃতি সঙ্গে রাখুন।
– পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ধার কাজ শুরু করুন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাহায্যের জন্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, যেমন: ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, রেড ক্রিসেন্টের সাথে যোগাযোগ করুন।
– ভূমিধসে আহতদের চিকিৎসার জন্য যত দ্রুত সম্ভব নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান।
কোভিড- ১৯ পরিস্থিতিতে আশ্রয়কেন্দ্র/নিরাপদ স্থানে করণীয়
– আশ্রয়কেন্দ্রে সবসময় মাস্ক পরে থাকুন। ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন। একে অপরের থেকে ৩ ফুট শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখুন।
– হাঁচি-কাশির সময়ে টিস্যু বা কাপড় দিয়ে অথবা বাহুর ভাঁজে নাক-মুখ ঢেকে নিন। ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলুন ও হাত পরিষ্কার করুন।
– আশ্রয়কেন্দ্র/নিরাপদ স্থানে কারো জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যাথা দেখা দিলে সাথে সাথেই স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় প্রশাসন বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ নিন এবং অবিলম্বে তাকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করুন। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন।
– আশ্রয়কেন্দ্র্রে/নিরাপদ স্থানে প্রতিবার ল্যাট্রিন ব্যবহারের আগে জীবানুনাশক দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। ১ লিটার পানিতে ২ চা চামচ ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে জীবানুনাশক তৈরি করে সংরক্ষণ করুন, যাতে প্রতিবার ল্যাট্রিন ব্যবহারের পর সেটি দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।
– আশ্রয়কেন্দ্র/নিরাপদ স্থানে প্রতিবার ল্যাট্রিন ব্যবহারের পর সাবান ও পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন।