এ.কে রিফাত: (মহেশখালী)
মহেশখালীর গহীন পাহাড়ে ওসির নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম দেশীয় অস্ত্র ও মাদক তৈরীর কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও মাদক তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার করেন।
২৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) বিকেল আনুমানিক চার ঘটিকার সময় উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের বারইখইল্লা ঘোনার গহীন পাহাড়ের ভেতর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওসি প্রনব চৌধুরীর নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করেন।
পুলিশ জানায়, ওই অভিযানে একটি দেশীয় তৈরী অস্ত্রের কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। অস্ত্রের কারখানায় পৌঁছানোর পর দেখা যায় সেখানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরীর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং উপাদান রয়েছে। তার মধ্যে লেদ মেশিন, দেশীয় তৈরীর অস্ত্রের স্প্রিং, কার্তুজের পিলেট, অস্ত্র তৈরীর লোহার পাইপ, লোহা কাটার বিভিন্ন যন্ত্র, অস্ত্রের কাঠের বাট, বিভিন্ন ধরনের কার্তুজ, কার্তুদের খোসা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়।
পুলিশ আরও জানায়, জায়গাটি পাহাড়ের এত গহীনের ভিতর যে পুলিশের উপস্থিতি আগে থেকে টের পেয়ে উক্ত কারখানার সাথে জড়িত ব্যাক্তিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অস্ত্র তৈরীর কারখানার একটু দূরেই একই ব্যাক্তিবর্গের মালিকানাধীন একটি দেশীয় মদের কারখানার সন্ধানও পাওয়া যায়। উক্ত কারখানায় পূর্বে প্রস্তুতকৃত ৮০ লিটার চোলাই মদ ছিল, পরে পুলিশ তা জব্দ করে।
থানা সূত্রে জানা যায়, গহীন পাহাড়ের ভেতর অস্ত্র ও মাদক তৈরীর কারখানার নিকটতম স্থানে পানের বরজে কর্মরত লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত অস্ত্র এবং মাদক কারখানার সাথে স্থানীয় রবিউল হোসেন প্রঃ রবি (৩৫), মনির (৩০), মানিক ( ৩৫) নামের তিন ব্যাক্তি সহ অনেকেই জড়িত।
স্থানীয় পানের বরজের শ্রমিকেরা আরও জানান, বহুদিন ধরে উক্ত জায়গায় অস্ত্র এবং মাদক কারখানার মাধ্যমে দেশীয় অস্ত্র এবং চোলাই মদের চাহিদা মত মহেশখালী সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে আসছিল অভিযুক্তরা।
এ বিষয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি প্রনব চৌধুরী মোটোফোনে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশখালী থানা পুলিশের একটি টিম হোয়ানকের গহীন পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এতে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র ও মাদক তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মহেশখালী থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মহেশখালীতে যে সমস্ত অস্ত্র ও মাদক কারবারি ও তাদের কারখানা রয়েছে সবাইকে একে একে খোযে বের করা হবে এবং সকলকে আইনের আওতায় এনে মহেশখালীর আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এজন্য তিনি প্রত্যেক এলাকার সুশীল সমাজের সহযোগিতা কামনা করেছে।