(নিজেস্ব প্রতিবেদক)::
গত ৫ ই নভেম্বর মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউপির ৭নং ওয়ার্ডস্থ ছামিরাঘোনায় রাত ৯ টায় নৃশংসভাবে ঘটে যাওয়া আলাউদ্দিন হত্যাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বসতবাড়িতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ। ঐ ঘটনায় ঘরপোড়া মামলায় মিথ্যা ভিত্তিহীনভাবে এলাকার ক্লিনইমেজদের মামলায় জড়ানো হয়েছে। ঘটনার দিন উপস্থিত না থেকেও ছামিরাঘোনা এলাকার রশোর ঘরপোড়া মামলায় কয়েকজনকে মিথ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। মামলার বাদী রশোর স্ত্রী শেকুয়ারা। ত্রিশজনকে আসামী করে মামলা করা হয়। এ বিষয়ে বাদীর সাথে কথা বললে, বাদী আসামীদের সঠিক পরিচয় এবং কতজনকে আসামী করা হয়েছে সঠিক বলতে পারে নাই।
আলাউদ্দিন হত্যার পরপরই রাত ৯ টার দিকে পুড়িয়ে দেয়া হয় কালারমারছড়া ছামিরাঘোনা এলাকার রশোর বসতবাড়ি। ঘটনার দিন এলাকা বা ঘটনাস্থলে না থেকেও অনেককে মামলায় জড়ানো হয়েছে। আরিফ ইফতেখার রশিদকে ৯ নং আসামী করে ঘরপোড়া মামলায়। এ বিষয়ে আরিফের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন তিনি চট্টগ্রামের চকবাজারে একটি মিটিংয়ে ছিলেন বলে জানান তিনি। তাছাড়া গত তিন মাস ধরে সে এলাকায় নেই বলেও জানান। মামলার ১৭ নং আসামী শেখ আব্দুল্লাহ জানান, এলাকার কোন সহিংসতায় আমি কখনো জড়িত ছিলাম না। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
সুজন বীমার এজিএম সরওয়ার বলেন, রুহুল হত্যাকান্ডের পূর্বেরদিন কক্সবাজার থাকার পরেও রুহুল হত্যায় মিথ্যাভাবে মামলা দেওয়া হয়। তার পরেরদিন থেকে এলাকায় না থেকেও রশো ঘরপোড়া মামলায় আমাকে জড়ানো হল। নিউজ ৭১ ডট টিভির সংবাদকর্মী জুয়েল চৌধুরীকেও মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। তার দাবী ঘটনার দিন সে চুনতী মাহফিলে ছিলো। তার বিন্দুমাত্র যোগসাজশ ছিলো না ঘটনার সাথে। তিনি আলাউদ্দিন হত্যা এবং রশোর ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার খবর সোশ্যাল মিডিয়া মারফত জানতে পারেন বলে জানায়। এছাড়াও ৫ই নভেম্বর শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে শনিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত চুনতী ছিল।
জুয়েল ও আরিফ বলেন, বাদীর সাথে তাদের খারাপ বা ভালো কোন পরিচিতি নেই। স্থানীয় কারো ইন্ধনে হয়তো এই মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে তাদের।