দ্বীপ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক:
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী স্থানীয় তিতামাঝির পাড়ায় আদালতে চলমান মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার আগেই জোরপূর্বক দখলকৃত ভিটার জায়গায় ঘর নির্মাণে অভিযোগ ওঠেছে।
স্থানীয় তিতামাঝির পাড়ার আলহাজ্ব মৃত কালা মিয়ার সন্তান জালাল আহমদ এর বিরুদ্ধে উক্ত অভিযোগটি তোলেন তাঁর আপন ছোট ভাই শাহাব উদ্দীন।
অভিযোগকারী শাহাব উদ্দীন জানায়, আমার দাদা মৃত খোশমত আলীর ৫ সন্তান হলো মৃত হাজী কালা মিয়া, মৃত ধলা মিয়া, মৃত এখলাছ মিয়া, মৃত মদন সাইর বিবি ও সেহেরজান বিবি। যাদেরকে আমার দাদার ৮০ কড়া জায়গা থেকে আমার পিতাসহ তাঁর ০৩ ছেলে সন্তানকে ৬০ কড়া ও ০২ মেয়েকে ২০ কড়া সমান ভাগে বন্টন করে দেয়। তারমধ্যে মৃত্যুর আগে আমার পিতা হাজী কালা মিয়া আমাকে তাঁর ভাগের ২০ কড়া জায়গা দানপত্রের মাধ্যমে দান করে দেন। যে দানপত্র মূলে বর্তমানে বিএস – দিয়ারা ও নামজারি আমার অনুকূলে রয়েছে। বর্তমানে আমি (শাহাব উদ্দীন) ০৭ কড়া ভিটার জায়গায় দখলে রয়েছি এবং আমার চাচাতো ভাই বোনেরা ১৩ কড়া ভিটার জায়গায় দখলে রয়েছে। আমাদের মোট ২০ কড়া ব্যাতীত অবশিষ্ট ৬০ কড়া জোরপূর্বক ভোগদখল করে বসবাস করতেছে আমার বড় ভাই জালাল আহমদ (পিতা কালা মিয়া)।
এব্যাপারে আমার চাচাতো ভাইবোন সহ আমরা বঞ্চিত ওয়ারিশগণ বিষয়টি স্থানীয় ভাবে, ইউনিয়ন পর্যায়ে সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী রুহুলের কাছে ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শরীফ বাদশার নিকট বিষয়টি মীমাংসা করতে গেলে বিচারের রায় আমার বড় ভাই জালাল আহমদ ও তাঁর সন্তানদের অনুকূলে না গেলে তাঁরা বিচার অমান্য করে চলে আসে। এবং তাঁদের অনুকূলে কাজপত্র হিসাবে উত্থাপন করে কুচক্রী মহলের যোগসাজশে সম্পূর্ণ ভিটা তাঁর নামে করার যে দিয়ারা খতিয়ান সে খতিয়াতন টি দেখায়। প্রকৃত পক্ষে তাঁর কাছে কুচক্রী মহলের যোগসাজশে করা এই দিয়ারা খতিয়ান ছাড়া কোন কাগজপত্রই নাই।
এমতাবস্থায় আমি ও আমার চাচাতো – ভাইবোন গণ জেলা দায়রা জজ আদালতে দিয়ারা সংশোধন মামলা করি। যে চলমান মামলাটির নং ৫৭/২০২০।
উক্ত মামলা চলমান অবস্থায় পরবর্তীতে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় ৫/৬ মাস আগে ঘর নির্মাণে কাজ শুরু করে আমার ভাই জালাল আহমদ এর ছেলেরা। এমতাবস্থায় আমার ছেলে মোহাম্মদ সোহেল, জোরপূর্বক বসতবাড়ী দখলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মহেশখালী থানায়। যার প্রেক্ষিতে থানা পুলিশের নির্দেশে মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম বেশ কয়েকবার ঘটনাস্থলে এসে বিবাদী জালাল আহমদ ও তাঁর সন্তানদের ঘর নির্মাণে বাঁধা দেয় ও মামলা মীমাংসা হওয়ার আগে বাড়ী ঘর নির্মাণ না করতে বলা হয় যাতে পরবর্তীতে কোন সংঘাত না ঘটে।
থানা পুলিশের উক্ত নির্দেশনা ও আদালতে চলমান মামলাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পূণরায় গতকাল থেকে ঘরের ভিতরে ইটের দেওয়াল নির্মাণ সহ সেমিপাকা বাড়ী তৈরি করতেছে। এমতাবস্থায় শান্তিপূর্ণ ভাবে মামলা মীমাংসার পূর্বে জোর করে দখলকৃত জায়গায় বাড়ী নির্মাণ করলে বঞ্চিত ওয়ারিশ গণ বড় ধরনের সংঘাতে জড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
তাই শান্তিপূর্ণ ভাবে কোন ধরনের সংঘাত মুক্ত মামলা মীমাংসা হওয়া পর্যন্ত পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করছি।