দ্বীপ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক:
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে টাকা ছাড়াই মিলছে না স্মার্ট কার্ড, এতে ভোগান্তি ও হয়রানি কথা জানিয়েছেন স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে আসা অনেকে। বিতরণ কেন্দ্রের সর্বত্রে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি।
ন্যাশনাল আইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রের আধুনিক ভার্সন (স্মার্ট কার্ড) বিতরণ শুরু হয়েছে মহেশখালী পৌরসভা থেকে শুরু করে উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে।
গত ২রা জানুয়ারি মহেশখালীর ২ লাখ ভোটারদের স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রথম ধাপে মহেশখালী পৌরসভায় বিতরণ হলেও, দ্বিতীয় ধাপে ধলঘাটায় বিতরণ শেষে আজ ১৫ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে মাতারবাড়ী ১ নং ওয়ার্ডের ভোটারদের স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয় মাতারবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
মাতারবাড়ীর ১ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ভোটারদের উৎসাহ বেড়েছে স্মার্ট কার্ড গ্রহণে। সকাল ৯ টা থেকে দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে আঙ্গুলের চাপ ও চোখের স্ক্যান দিয়ে পুরাতন এনআইডি কার্ড প্রদর্শন করে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করছেন ভোটাররা।
তবে স্মার্ট কার্ড নিতে আসা অধিকাংশ ভোটাররা জানিয়েছেন হয়রানির কথা। স্মার্ট কার্ড বিতরণকালে কর্তব্যরত কর্মকর্তা গণ ভোটারদের আসল আইডি কার্ড’কে নকল বলে টাকা ব্যাংক ড্রাফট করতে বলে, এমন জটিলতা সম্পন্ন করলেই মিলছে স্মার্ট কার্ড। এই জটিলতা সম্পন্ন করতে না পেরে, অনেক অসহায়, দরিদ্র ভোটাররা স্মার্ট কার্ড না নিয়ে ফিরে গেলেন বাাসায়।
তবে মহেশখালী উপজেলা নির্বাচন অফিসের গেজেটে উল্লেখিত ছিল, কোন প্রকারের ডুপ্লিকেট জাতীয় পরিচয়পত্র, জাতীয় পরিচয় পত্রের স্ক্যান কপি কিংবা ফটোকপি গ্রহণযোগ্য হবেনা। এবং যে সকল ভোটার জাতীয় পরিচয় পত্র (আই.ডি.কার্ড) হারিয়ে ফেলেছেন তারা যে কোন সোনালী ব্যাংক চালান অথবা রকেট, ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং-এ ৩৬৮ টাকা জমা দিয়ে জমা স্লিপ কিংবা চালান নিয়ে স্মার্ট কার্ড নিতে পারবে।
ভোটারদের অভিযোগ সরকার কতৃক দেওয়া পুরাতন এনআইডি থাকার পরও কর্মকর্তারা এটিকে ডুপ্লিকেট বলে ৩৬৮ টা ড্রফট করতে বাধ্য করে। এ জনদূর্ভোগ নিয়ে সমালোচনা করে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক নিজের ফেসবুক ওয়ালে মন্তব্য করছেন, (স্মার্ট কার্ড দিলে আইডি কার্ডের কোন মূল্য নেই। তাহলে আসল নক যাচাই করার মানে কি?) যেখানে অনেক ভোটারদের সমালোচনামূলক মন্তব্য করতেও দেখা যায়।
এদীকে আজ শনিবার ১ নং ওয়ার্ডের ১৮৯৭ জন পুরুষ এবং ১৬৬৮ জন সহ মোট ৩৬৬৫ জন ভোটাররা মাতারবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হতে দেখা যায়। যেখানে মানা হয়নি কোন প্রকারের স্বাস্থ্যবিধি। সকল ভোটারদের লাইনে দাঁড়িয়ে স্মার্ট কার্ড নেওয়ার সময় দেখা যায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করতে।
মহামারী করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে উপজেলার মাতারবাড়ী করোনার হটস্পট এ পরিণত হয়েছে। তবে, যে হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে – সেভাবে কোথাও দেখা যাচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে।
এব্যাপারে বক্তব্য নিতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।