নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহুল কাঙ্খিত ত্রি – বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল ২০২২ কে ঘিরে চলছে নানান জল্পনাকল্পনা।
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার দীর্ঘ এক যুগ পর মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে কে আসবেন দায়িত্বে? তা নিয়ে দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়া খ্যাত মাতারবাড়ীতে আওয়ামিলীগের তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরুকরে সর্বত্রে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
দ্বীপ নিউজ টোয়েন্টিফোরের বিশেষ এক জরিপের মাধ্যমে ওঠে এসেছে, দীর্ঘ ১ যুগ পর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল হলেও সভাপতি পদে রদবদলের কথা ভাবছে না তৃণমূল। যুগ-যুগ ধরে আওয়ামী লীগের অঘোষিত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেওয়া খুব একটা সহজ নাহলেও। গত ১ যুগ ধরে সুশৃঙ্খল ভাবে আওয়ামী পরিবারের অবিভাবকের ভূমিকায় থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও আগামী ইউনিয়ন সম্মেলন ও কাউন্সিলের সভাপতি পদপ্রার্থী আলহাজ্ব জিএম ছমি উদ্দিন।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলের ভোটারগণদের থেকে নেওয়া এক বক্তব্যে তাঁরা জানায়, আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনকে সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালনা। বিভিন্ন কর্মসূচি, দলীয় প্রোগ্রাম সহ তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে সংগঠনের যে সুসম্পর্ক তা বজায় রাখতে সামনের কাউন্সিলে সভাপতি পদে জিএম ছমি উদ্দিন ছাড়া দ্বিতীয় কোন বিকল্প দেখছে না।
এব্যাপারে মাতারবাড়ী ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ রাজিবের সাথে কথা বললে তিনি জানান, দীর্ঘদিন বলতে প্রায় ১২ বছর পর কাউন্সিল হচ্ছে। প্রত্যাশা তো আছেই, সুশৃঙ্খলভাবে ও কোনপ্রকার ঝামেলা ছাড়া অবশ্যই উৎসবমুখর একটি সম্মেলন দেখার আশা আছে।
তিনি দ্বীপ নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান – মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সুসংগঠিত থাকার কারণ। যেখানে তিনি বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জিএম ছমি উদ্দিনের অবদান এবং কৃতিত্বকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, আমি যেহেতু ৯নং ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছি বিশেষ করে আমরা ৯ নং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীগণ ও কাউন্সিলর গণ আগামী ১৪ তারিখের সম্মেলনে বিকল্প কোন সভাপতি চাইনা জিএম ছমি উদ্দিন ছাড়া। ওনার কারণেই মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যে সজীবতা তা হারিয়ে যায়নি। প্রত্যেকটা দলীয় প্রোগ্রাম ও কর্মসূচি সফল করার মূলনায়ক হিসাবেই আগামী সম্মেলনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে তিনি জিএম ছমি উদ্দিনকে পূণরায় সভাপতি হিসাবে পেতে চান।
এব্যাপারে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আরো অসংখ্য নেতাকর্মী, কাউন্সিলর সহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বললেও। সকলের মুখে জিএম ছমি উদ্দিন ছাড়া বিকল্প অন্য কোন প্রার্থীর নাম শুনা যায়নি। কিংবা পাড়া – মহল্লা কিংবা আলোচনায়ও নেই।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, কাউন্সিলর ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণ কেন সভাপতি পদে কাউকে বিকল্প চায় না? তা জানতে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জিএম ছমি উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গত ১ যুগ ধরে দল আমাকে যেভাবে চেয়েছে সেভাবে পেয়েছে। দলের কারণে নিজে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অনেকসময়। আবার অনেকসময় জীবন বাজি রেখে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করে গেছি। যার জ্বলন্ত উদাহরণ, মাতারবাড়ী নতুন বাজার মাঠে আমাকে আঘাত করা হয় ও মগডেইলে পুলিশের সাথে জনতার সংঘর্ষে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে নিতে কাজ করে যাওয়া।
দলীয় বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও কর্মসূচি যেভাবে সফল করার নির্দেশ কেন্দ্র হতে এসেছে, চেষ্টা করেছি তাঁর চেয়ে অধিকতর সুন্দর করতে। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প নিরাপদে কোন ঝামেলা ছাড়া বাস্তবায়ন হতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা রাত-দিন হিসাব না করে যেভাবে চেয়েছে সেভাবে পেয়েছে।
পূণরায় সভাপতি নির্বাচিত হলে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন বাসী ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের জন্য কি করবেন? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম ছমি উদ্দিন আরো বলেন – ইনশাআল্লাহ এইবার পূণরায় সভাপতি নির্বাচিত হলে। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে অতীতের তুলনায় সামনে আরো সমন্বয় করে কাজ করব। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপির হাতকে তথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পূণরায় সরকার গঠন করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখব তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে। আমাদের সরকার যেহেতু ক্ষমতায়, সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো এলাকার জন্য কাজ করতে। ইনশাআল্লাহ, অতীতের তুলনায় সামনে তৃণমূল আমাকে আরো বেশি পাশে পাবে।
উল্লেখ্য আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১০ টায় মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলন ও কাউন্সিলে সভাপতি পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন ৫ জন প্রার্থী এবং সম্পাদক পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন ৪ জন প্রার্থী।