দ্বীপ নিউজ ডেস্ক::
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় ঈদ উদযাপন করতে গিয়ে বিষাক্ত মদপান করেছে একটি সংঘবদ্ধ দল। তারা ঈদ উদযাপনের আনন্দ হিসেবে এই ঘৃণ্য কাজ করেছিলো। কিন্তু কে জানতো এই মদপান মৃত্যু মিছিল ডেকে আনবে।
শেষ পর্যন্ত এই মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে মদপানে অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও অন্তত সাতজন। সোমবার (২৫ মে) মদপান করে ঈদ উদযাপন করতে গিয়ে পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের শানেরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- ওই ইউনিয়নের খোলাহাটি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৪৫), রায়তি সাদুল্যাপুর গ্রামের দুলা মিয়া (৫০), বড় পাহাড়পুর গ্রামের জায়দুল হক (৩৫), হরিরাম সাহাপুর গ্রামের লুলু মিয়া (৩০), বড় পাহাড়পুর গ্রামের সেলিম মিয়া (৫০) এবং মিঠাপুকুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের চন্দন কুমার (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মদপানে অসুস্থ ও মারা যাওয়া ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ দল। প্রায়ই তারা শানেরহাট বাজারে মদের আসর বসাতেন। সোমবার ঈদের দিন মদপানের পর বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়।
এর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে খোলাহাটি গ্রামের (তিনদিন আগের জেলফেরত) আব্দুর রাজ্জাক, বিকেলে পাহাড়পুরের জায়দুল হক ও মিঠাপুকুরের বাজিতপুরের চন্দন কুমার, সোমবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বড় পাহাড়পুরের সেলিম মিয়া, রাতে নিজ বাড়িতে রায়তি সাদুল্লাপুরের দুলা মিয়া এবং হরিরাম সাহাপুরের সেরাজুল মিস্ত্রির মৃত্যু হয়।
এছাড়া ধল্লাকান্দির খালেক (৫০), আকবর (৪৫) ও মিলন মাস্টার (৫২), কাজীর পাড়ার খোড়া শাহিন (৪২) ও খোলাহাটির ডিস মতিনসহ (৩৬) সাতজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাড়ি ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি করে তাদের দাফন করেন স্বজনরা। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়।
শানেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মন্টু বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি আমরা। মৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের। পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। তদন্ত শেষে মৃত্যুর ঘটনা উদঘাটন হবে।
রংপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, মদের উৎস এবং মদ সরবরাহকারীকে খুঁজে বের করতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।