হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে আটক করা হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
বুধবার রাতে ফেইসবুকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা সিকদার ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে মামুনুল হককে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান। তিনি লিখেন ঢাকার মোহাম্মদপুর মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে আটক করেছে ডিবি।
তবে এউ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারে নি।
বুধবার (৭ এপ্রিল) বিকালে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।
গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে নারীসহ স্থানীয়দের দ্বারা অবরুদ্ধ হন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। সে সময় তিনি ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন। হেফাজতের এই কেন্দ্রীয় নেতা আটক হওয়ার খবরে লাঠিসোটা হাতে রিসোর্টে এসে ভাঙচুর চালিয়ে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেয় সংগঠনের কর্মীরা।
এরপর তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এসময় হেফাজত কর্মীরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে সড়কে অবস্থান নেন এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের কর্মীদের ভাঙচুরের সময় ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিএম মোশাররফ হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মোস্তফা মুন্নাসহ সরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা। এসময় হেফাজতের উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকরা রিসোর্টের বাইরে অবস্থান নেন।