মোঃ আকিব বিন জাকের, মহেশখালী
আজ ২৯ ই জুন (সোমবার) মহেশখালী উপজেলার পৌরসভা এলাকা হতে দায়িত্ব পালনের পর ফেরার পথে কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি বাজারে একটি হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখে থমকে যায় দৈনিক পূর্বকোণ এবং সিপ্লাস টিভির প্রতিনিধি সাংবাদিক হোবাইব। দেখতে পান ৬ বছর বয়সী সুলতানা নামের এক শিশু কিছু তরকারি সামনে নিয়ে বসে আছে ম্লান চেহারায়। অথচ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও সেই তরকারি কেনার যেন কেউই নেই!
সেই করুণ দৃশ্য আর সহ্য হয়নি সংবাদের ফেরিওয়ালা হোবাইবের। নেমে গেলেন গাড়ি থেকে। মেয়েটির পাশে গিয়ে বসলেন। জানতে চাইলেন
-তিনি এই ছোট বয়সে কেন এই পথে?
এবং চেহারা এতো ম্লান কেন?
জবাবে মেয়েটির মধ্যে পাওয়া যায় পারিবারিক চিন্তাভাবনা! অবাক হয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে মেয়েটি জানায়,
-” তার বাবার অল্প আয়ে তাদের সংসার চলেনা। বাড়ির উঠোনে কটা শাকপাতা(কচু) লাগিয়েছিলেন তায মা। সেই শাকপাতা হতে কিছু কচুলতি সংগ্রহ করে অল্প টাকার সন্ধানেই বাজারে এসেছে। যাতে পরিবারের সাথে দুবেলা পেটপুরে খেতে পায়।”
মেয়েটির করুণ পরিণতির কথা শুনে সাংবাদিক হোবাইব তরকারি গুলির দাম জানতে চাইলে, সে চল্লিশ টাকার বিনিময়ে সব তরকারি দিয়ে দিতে চায়।
অল্প টাকায় এতো তরকারি দিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রি করতে না পারার কথা জানায় মেয়েটি। এতে হোবাইব আরো দুর্বল হয়ে পড়েন। অবশেষে মেয়েটিকে তরকারি গুলোর মূল্য তথা চল্লিশ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে তরকারিগুলো বাড়িতে ফেরত নিয়ে রেধে বাবা মাকে নিয়ে খাওয়ার কথা বলেন হোবাইব। এরপর খুশিতে যেন প্রফুল্ল হয়ে উঠল মেয়েটির চেহারা। মেঘের মাঝে হঠাৎ যেন সূর্যের উদয়!
সুলতানা নোনাছড়ির পশ্চিম পাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদিনের কন্যা। সে নোনাছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী।