1. dwipnews24.info@gmail.com : Dwip News 24 :
  2. editor@dwipnews24.com : Newsroom :
কক্সবাজারের পর্যটন খাতে নানান অস্থিরতার মাঝে স্বস্তি ফেরাতে পারে সোনাদিয়া | দ্বীপ নিউজ
May 17, 2024, 4:23 am
শিরোনাম :
গ্লোরিয়াস ওমেন এন্টারপ্রেনার অব বাংলাদেশ এর পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত, শাহরিন পরিচালক ও জেরিন সম্পাদক নির্বাচিত সাংবাদিক কায়ছারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার; উপজেলা প্রেসক্লাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ মাতারবাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আধাঁরে হামলা ও লুটপাট, আহত একাধিক মাতারবাড়িতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবী হত্যা মহাকাশ গবেষণায় মহেশখালীর ১১ শিশু-কিশোরের সফলতা মাতারবাড়ি প্রকল্পের ভিতরে সাংবাদিক রকিয়তকে আটকে রেখে মারধর ও হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন মাতারবাড়ীতে সাংবাদিকদের হাত-পা কেটে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান রাজাকে বিভিন্ন মহলে অভিনন্দন কক্সবাজার জেলা থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে জয়িতা সম্মাননা পেলেন শাহরিন জাহান মহেশখালীতে ভুমিহীন ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জীবন জীবিকার সুরক্ষার তাগিদে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারের পর্যটন খাতে নানান অস্থিরতার মাঝে স্বস্তি ফেরাতে পারে সোনাদিয়া

  • আপডেটের সময় : বুধবার, অক্টোবর ১৯, ২০২২
  • 253 ভিউ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য দেশি-বিদেশি ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে বিখ্যাত, পর্যটন নগরী কক্সবাজার। দেশের পর্যটন খাতের আলাপ আসলে বরাবরের মতোই কক্সবাজার থাকে আলোচনায়। সারাদেশ সহ বিশ্বের নানান জায়গা হতে বছরে লাখ লাখ পর্যটক আসে কক্সবাজারের সৌন্দর্যের ঘ্রাণ নিতে। দেশীয় পর্যটক খাতে এ অঞ্চল হতে একটি বড় মুনাফা সরকারের কোষাগারে জমা পড়ে প্রতি বছর।

অন-সিজন ও সরকারি ছুটির সময় গুলোতে সমুদ্রনগরীতে উপচে পড়া ভিড়ে তৈরি হয় চাপ, দেখা দেয় নানান জটিলতা। এই সমস্যা হতে পরিত্রাণ পেতে ও চাপ কমাতে, মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত চারদিকে গভীর সমুদ্রের সাগরের ঢেউ সমৃদ্ধ সোনাদিয়ার মতো ডার্ক সাইটে থাকা স্পটগুলো সম্ভবনাময় স্থান হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এবং তা সরকার পুরোদমে চালু করলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সহ পর্যটক খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

মহেশখালীর সোনাদিয়া মূলত প্যারাদ্বীপ নামেও পরিচিতি এবং শুটকির জন্য বিখ্যাত। এ দ্বীপে প্রতিবছর ভ্রমণে যায় হাজার হাজার পর্যটক। স্থানীয় তরুণ উদ্যোক্তাদের ভাড়ায় দেওয়া তাঁবু নিয়েই ক্যাম্পিং করে আগত সকল পর্যটক। সোনাদিয়ার স্থানীয় উদ্যোক্তাদের দ্বারা সৃষ্টি নামে-বেনামে বিভিন্ন ট্যুরিজম গ্রুপের পেইড অফার নিয়ে ঘুরতে যায় অনেক দেশীয় পর্যটক। উক্ত এলাকায় মানসম্মত কোন রিসোর্ট, হোটেল-মোটেল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি না থাকায়; আগত পর্যটকগণ জীবন ও জানমালের সংশয় নিয়েই ভ্রমণ করে এই এলাকা। তবে এই এলাকার শুটকির সুনাম দেশ পেরিয়ে রয়েছে বিদেশেও। বসবাসরত স্থানীয় ৩ শতাধিক পরিবারের উপার্জনের একমাত্র উৎস মৎস্য চাষ ও শুটকি উৎপাদন। তাঁদের শুটকি উৎপাদনের পাশাপাশি ইকো ট্যরিজুমের বিষয়ে প্রশিক্ষিত করে, পর্যটন খাতে মনোযোগী করাতে পারলেই এলাকাটির বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলেও ধারণা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের।

ইতিপূর্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) কতৃর্পক্ষকে মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ায় ইকো-ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মাস্টার প্ল্যানগুলোর লক্ষ্য হল বাস্তুসংস্থান সংক্রান্ত ভারসাম্য এবং জীববৈচিত্র্য, দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং পরম্পরাকে রক্ষা করে পর্যটনবান্ধব অঞ্চল গড়ে তোলা এবং কক্সবাজার জেলার আওতাধীন বিভিন্ন পর্যটন এলাকার মধ্যে সেতুবন্ধ রচনা করা।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগ সহনশীল করে ট্যুরিজম পার্কের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান। তিনি এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন রেখেই ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণ করার নির্দেশও দিয়েছিলেন বছর দুয়েক আগে।

সরকার সোনাদিয়ায় ইকো ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিলেও, কক্সবাজারের পর্যটনের চাপ কমাতে এমুহূর্তে উক্ত এলাকা নিয়ে ভাবার ও পর্যটন খাতকে বৃহৎ করার পরিকল্পনা নিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নে মনোনিবেশ হওয়ার জন্য কতৃপক্ষকে পরামর্শ দেন মহেশখালী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আ.ন.ম হাসান।

তিনি আরো বলেন, নিঃসন্দেহে সোনাদিয়া দেশীয় পর্যটন খাতে বিরাট ভূমিকা রাখবে৷ যতটুকু জানি সরকার ইতিমধ্যে সোনাদিয়া অঞ্চলকে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে৷ সোনাদিয়া অঞ্চলকে কেন্দ্র করে বর্তমানে স্থানীয় কিছু উদ্যোক্তারা পর্যটন ব্যবসা শুরু করলেও তাতে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা সহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ অপ্রতুল৷

উল্লেখ্য যে, সোনাদিয়া মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ভূখন্ড হলেও। মূল ইউনিয়ন হতে বিচ্ছিন্ন রয়েছে রাস্তার অভাবে। দীর্ঘদিন ধরে বিলীন হয়ে আছে সোনাদিয়া যাওয়ার একমাত্র সড়ক পথটি। সোনাদিয়ায় বসবাসরত সাধারণ জনগণের যেকোন জরুরি প্রয়োজনে, শিক্ষা চিকিৎসা কিংবা আইনি সহায়তার জন্য মূল ভূখন্ডে আসতে মুকাবিলা করতে হয় নানা সমস্যার। রাস্তার অভাবে সোনাদিয়ায় আগত সকল পর্যটকদের যেতে হয় ঘটিভাঙ্গা হয়ে নৌকাপথে, ঝুকিপূর্ণ হলেও ভ্রমণ পিপাসরা এই নৌকাপথে অর্জন করবে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।

এব্যাপারে কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামাল জানান, সোনাদিয়া আমার ইউনিয়নের অংশ। কক্সবাজারের পর্যটনের চাপ কমাতে আমরা নিজেরাও উদ্যোগী হতাম সোনাদিয়া নিয়ে, যদি আমার জনগণদের জন্য কোন ব্যবস্থা করতে পারতাম। এখন সোনাদিয়ায় কি হচ্ছে? না হচ্ছে, তা জানিনাহ। সড়কের অভাবে, আমার জনগণের বিপদ-আপদে পাশে দাঁড়াতে পারছি নাহ, সেটাই সবচেয়ে বড় দুঃখজনক বিষয় আমার জন্য। এমুহূর্তে সাধারণ পর্যটকদের জন্য আমার কিছু করার নেই। সরকার জায়গাটিতে ইকো-ট্যুরিজম পার্কের কাজ করবে, এখন আমার চিন্তা সোনাদিয়ায় অবস্থানরত আমার জনগণদের কিভাবে এবং কোথায় পূনর্বাসন করব তা নিয়ে।

সরকারের ইকো-ট্যুরিজম পার্ক বাস্তবায়নের এই দীর্ঘ সময়ের পূর্বে। লাল কাঁকড়ার দ্বীপ খ্যাত মহেশখালীর সোনাদিয়ার জীব-বৈচিত্র অক্ষুন্ন রেখে। সাময়িকভাবে হলেও কক্সবাজারের চাপ কমাতে – জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে পর্যটন খাতকে চালু করা গেলে। অদূর ভবিষ্যতে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক বাস্তবায়নের পর পর্যটকদের সোনাদিয়া মুখী করতে বেগ পোহাতে হবেনা এবং ততদিনে দেশব্যাপী সোনাদিয়ার সৌন্দর্য আরও ফুটে ওঠবে ও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত © 2022 dwipnews24.net
Desing & Developed BY ThemeNeed.com
error: Content is protected !!