আ ন ম হাসান:
“বন্যপ্রাণী সহ জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় মহেশখালীকে সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষনা ও মহাবিপন্ন প্রজাতির বানর হত্যাকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করুন”
মহেশখালীতে মহাবিপন্ন প্রজাতির বানর হত্যার প্রতিবাদে “বন্যপ্রাণীর প্রতি সহিংসতা রুখো” স্লোগানে বানর হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মানববন্ধনের আয়োজন করে সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী সংসদ।
৫নভেম্বর সকালে বানর হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক বিকেলে মহেশখালী উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান আ.ন.ম. মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে ও ওয়ান অবলিগ টোয়েন্টিফোর সোশ্যাল মুভমেন্টের এনভায়রনমেন্ট এন্ড বায়ুডায়বারসিটি উইং লিডার সাধারন সম্পাদক রুমানা রিফাত রিমকির সঞ্চালনায় অনুষ্টিত হয়।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ ককসবাজার জেলার সিনিয়র সহ সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন আবু ও আ.ন.ম. হাসান, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন ককসবাজার জেলার নেতা ও সাবেক ছাত্র নেতা মনির মোবারক, সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ ককসবাজার জেলা সহ:সাধারন সম্পাদক মো:নেজাম ফারাব্বী, ওয়ান অবলিগ টোয়ান্টিফোর সোশ্যাল মুভমেন্টের সভাপতি জামাল উদ্দীন, সমাজকর্মী মনির উদ্দিন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মহেশখালী উপজেলা সাধারন সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন মহেশখালী উপজেলা সাধারন সম্পাদক প্রিন্স প্রান্ত, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ মহেশখালী উপজেলা সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ, সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা সভাপতি জালাল উদ্দীন, ফায়সাল উদ্দীন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন গত ১১/১০/২১ তারিখ বিকেল আনুমানিক ৫:৩০ মিনিটের সময় মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালীর ভারিতিল্লা পাহাড়ী ঘোনা যা মুদিরছড়া বন বিটের অধীনস্থ পাহাড় মহেশখালী মৌজায় মহাবিপন্ন প্রজাতির শতাধিক কুলু বানর/শুকর লেজি বানর (Northern pig-tailed Macaque) কে কলার সাথে বিষ মাখিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরিকল্পিত ভাবে একসাথে এতগুলো বন্যপ্রাণী হত্যা, যা এদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বন্যপ্রাণী হত্যাকান্ড হিসেবে বিবেচিত হয়েছে । এতে গত ১৭/১০/২১ তারিখে মুদিরছড়া বিট কর্মকর্তা অঞ্জন কান্তি বিশ্বাস বাদী হয়ে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর ৩৯ ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করেছেন। অথচ এখনো অব্দি মামলার কোন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাছাড়া বন বিভাগের করা মামলাতে ভিন্ন প্রজাতির বানর যা (Macaca Mulatta) বলে উল্লেখ করেছে। যার ফলে পোষ্টমর্টেম রিপোর্টের সাথে এই অঞ্চলে বিচরন করা বানরের প্রজাতির ভিন্নতা থাকায় এই হত্যাকান্ড প্রমান করা অসম্ভব। তাই চিহ্নিত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী গবেষক দ্বারা এই বানরের প্রজাতি তাদের প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করে আর্জি সংশোধন করার বক্তারা জোর দাবী জানান।