এ.কে রিফাত: (মহেশখালী)
মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালীর জাগিরাঘোনা এলাকার আলোচিত কলেজ ছাত্র আরাফাত হত্যা মামলার ০১ নাম্বার আসামী সাইমুন ইসলাম বাবু (২২) বিদেশ যাওয়ার সময় এয়ারপোর্ট থেকে আটক করেন ইমেগ্রেশন পুলিশ।
থানা সূত্রে জানায়, মহেশখালী থানা কর্তৃক ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত আসামী বিদেশ যাওয়ার প্রাক্কালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃক গতকাল রাতে আটক হয়। তাকে গ্রেফতার করে মহেশখালী থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানা যায়।
এবিষয়ে সচেতন মহলের অভিমত ; একসময় মহেশখালীর আলোচিত সকল হত্যা মামলার মুল আসামীরা পুলিশের চোঁখ ফাকি দিয়ে দ্রুত বিদেশ চলে যেত।কিন্তু মহেশখালীর ইতিহাসে এটাই প্রথম ঘনকাল, যে – একজন হত্যা মামলার আসামীকে বিদেশ যাওয়ার প্রাক্কালে এয়ারপোর্ট থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তক আটক করার মত ঘটনা আগে কখনো দেখেনি মহেশখালীবাসী। এজন্য তারা মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনব চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মহেশখালী থেকে যাতে ভবিষ্যতে আর কোন অপরাধী বিদেশ পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য সার্বিক আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ করেছেন।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি প্রনব চৌধুরী জানান, মহেশখালীর আলোচিত কলেজ ছাত্র আরাফাত হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি আমিনুল ইসলাম বাবু- হত্যকান্ডের পর থেকেই পুলিশের চোঁখকে ফাকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়।কিন্তু থানা পুলিশ তার পিছনে নজরদারি বাড়িয়েছিল যার কারনে খবর আসে যে, আসামী বিদেশ যাওয়ার পায়তারা করতেছে। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবগত করে রাখা হয়েছিল। তারই ফলশ্রুতিতে আসামীকে বিদেশ যাওয়ার প্রাক্কালে আটক করতে সক্ষম হয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। আটকের পর তাকে মহেশখালীর উদ্যেশ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও জানান ওসি প্রনব চৌধুরী।
পুলিশ আরো জানায়, হত্যাকাণ্ডের পরপরই কলেজ ছাত্র আরফাত হত্যা মামলার অপর দুই আসামীকেও পুলিশের বিশেষ প্রযুক্তি ব্যাবহার করে সুদুর রামু থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশের একটি টীম। গত ৩০ অক্টোবর (শুক্রবার) মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনব চৌধুরীর নির্দেশে ভোর আনুমানিক ৫ টার দিকে রামু উপজেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কলেজ ছাত্র আরাফাত হত্যাকান্ডের ০৪ নং আসামী মো. শাহ আলম ও ০৮ নং আসামী মো. তৌহিদুল আলম।
এ নিয়ে অত্র হত্যাকান্ড মামলার মোট তিনজন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেন পুলিশ। বাকি আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছেন বলেও জানান।
উল্যেখ্য যে, গত ২৫ অক্টোবর (রবিবার) রাত ৯টার দিকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালীর জাগিরাঘোনা এলাকায় কলেজ ছাত্র আরফাতকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয় সালাম মিয়া প্রকাশ সালাইম্মে ড্রাইভারের নেতৃত্বে একদল হামলাকারী তার উপর হামলা করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য আরফাতকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়। চট্টগ্রাম ট্রিটিমেন্ট হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন।
নিহত কলেজ ছাত্র আরাফাত হত্যাকান্ডে ড্রাইভার সালাইম্যা প্রকাশ আব্দু সালাম ও তার ছেলে সহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে সেসময়ে একটি হত্যাকান্ড মামলা দায়ের করেছিলেন।